গাড়িতে চড়ে মধ্যরাতে মাওয়া ঘাটে যাচ্ছিলেন পদধারী কয়েকজন যুবদল নেতা। সেই আনন্দ ভ্রমণে মদ্যপান করে হৈ-হুল্লোড়ও করতে থাকেন তারা। তাদের মধ্যে থাকা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি নিজেদের সেই যাত্রাটি ফেসবুকে লাইভ করছিলেন।এমন সময়ে গাড়িটি কুচিয়ামোড়া টোল বক্সের সামনে এলে টোল না দিয়েই বক্সটি পার হন নেতারা। এর পরে তাদের দম্ভোক্তি ‘আমাদের টোল লাগে না।’ আর এই পুরো ঘটনাটিই ধরা পড়েছে খোদ ওই যুবদল সভাপতির লাইভেই। মাতাল হয়ে তাদের এই কাণ্ডের সেই ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল।গত ১০ জুলাই রাতের ওই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসুম আহমেদ রাজ নিজের লাইভ ভিডিওটি ফেসবুক থেকে মুছে ফেলেছেন। যদিও তার লাইভই ডাউনলোড হয়ে ছড়িয়েছে সর্বত্র। মূলত, মাসুম আহমেদ রাজের নেতৃত্বেই কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের ৬ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. রহিমসহ আরো কয়েকজন নেতাকর্মী মাওয়া যাচ্ছিলেন। মাতাল অবস্থায় হৈ-হুল্লোড় করতে করতে টোল ফাঁকি দিয়ে তারা বলে ওঠেন, ‘আমাদের টোল লাগে না।’মাসুম আহমেদ রাজ ও আব্দুর রহিম মূলত ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর একনিষ্ঠ লোক হিসেবে পরিচিত। ৫ আগস্টের পরে মাসুম ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন বাড়ি, দোকানে হামলা, লুটপাট, দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। এসবের প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে কুতুবপুরে নারীরা ঝাড়ু মিছিল বের করেন সম্প্রতি।মাসুম-রহিমের ওই ভিডিও নিয়ে ইতোমধ্যে নারায়ণগঞ্জে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতাল চত্বরে ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশেও এসেছে ওই প্রসঙ্গ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাধিক নেতা ওই ‘টোলকাণ্ডের’ সমালোচনা করে বলেন, ‘১৭ বছরে যারা একটি বালুর ট্রাক সরাতে পারেনি, তারাই এখন দম্ভভরে বলে, ‘আমাদের টোল লাগে না। এরা ক্ষমতায় এলে যে কী করবে তা সবাই বুঝে গেছে।’তবে এ বিষয়ে জানতে যুবদল নেতা রহিমকে কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর