লর্ডস টেস্টে আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ডিউক বল। ইংল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার তৃতীয় টেস্টে কয়েক ওভার খেলতেই বলের আকৃতি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলছে ভারতীয় শিবির। দ্বিতীয় দিনের শেষে জসপ্রীত বুমরাহ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে বুঝিয়ে দেন— পরিস্থিতি নিয়ে তিনি মোটেও সন্তুষ্ট নন।ইংল্যান্ডের ইনিংসে দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার পর মাত্র ১০.৪ ওভারের মধ্যে বলের আকার বিকৃত হয়ে পড়ে। আম্পায়াররা বল পরিবর্তন করেন। বিতর্ক এখানেই থেমে যেতে পারতো। কিন্তু পুনরায় যে বলটি দেওয়া হয় তা নিয়েও ভারতীয়দের অসন্তোষ দেখা যায়। ভারতের অধিনায়ক শুভমন গিল ও মোহাম্মদ অভিযোগ করেন, অতিরিক্ত ব্যবহার করা বল দেওয়া হয়েছে। ফলে ৮ ওভার পর আবারও বদলাতে হয় বল। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে বুমরাহ বলেন, ‘বারবার বল পাল্টাতে হচ্ছে, এতে আমাদের কিছু করার নেই। এসব নিয়ে মন্তব্য করে জরিমানা খেতে চাই না। ম্যাচ ফি কেটে নেওয়ার ঝুঁকি নিতে রাজি নই।’ভারতের তরুণ ক্রিকেটার নীতীশ কুমার রেড্ডির দাবি ছিল, বুমরাহর পরামর্শেই তিনি সাফল্য পেয়েছেন। তবে সেটিকে পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন অভিজ্ঞ এই পেসার।বুমরাহ বলেন, ‘ও (নীতীশ) আমাকে কিছুই জিজ্ঞেস করেনি। তবে আমাদের দলের তরুণরা আত্মবিশ্বাসী। তাদের সব সময় বেশি কিছু বলার প্রয়োজন হয় না। দরকার হলে অবশ্যই সাহায্য করি। তবে জোর করে উপদেশ দেওয়া আমার ধরণ নয়।’ তরুণদের নিয়ে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘আমি কখনও নিজের মত চাপিয়ে দিই না। সবাই আলাদা। আমার বল করার ধরন যেমন আলাদা, সবার সেটা প্রযোজ্য নয়।’ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৭৪ রানে ৫ উইকেট নেন বুমরাহ। কিন্তু প্রতিক্রিয়ায় খুব একটা উচ্ছ্বাস দেখা যায়নি। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে হালকা হাস্যরস মিশিয়ে উত্তর দেন, ‘খুব ক্লান্ত ছিলাম। ২১-২২ বছর বয়স তো আর নেই যে পাঁচ উইকেট পেয়ে লাফাতে যাব! পরের বল করতে ফিরে যাই, সেটাই যথেষ্ট।’বিদেশের মাটিতে এটি বুমরাহর ১৩তম ইনিংসে পাঁচ বা তার বেশি উইকেট। এই কীর্তিতে তিনি ছাপিয়ে গেছেন কিংবদন্তি কপিল দেবকেও, যিনি দেশের বাইরে ১২ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর