যশোরের শার্শায় দুই সন্তানের জননী গৃহবধূ (৩৮) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পরদিন অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে গ্রাম্য সালিস বসিয়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে স্থানীয় মাতব্বররা। এ ধরনের অপরাধের বিচার গ্রাম্য সালিসে করায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলা উলাশী ইউনিয়নের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ওই গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে আমজেদ আলী (৪৮), আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ (১৮) ও টুকুর ঘর জামাই সিরাজ (৪৮) পলাতক রয়েছে। গৃহবধু বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।স্থানীয়রা জানান, গৃহবধুর স্বামী খুলনায় থেকে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। প্রতিবেশী আক্তারের ছেলে আব্দুল্লাহ প্রায় সময় ওই গৃহবধুকে উত্ত্যক্ত করত। গত মঙ্গলবার (১ মে) গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। এ সময় বাড়িতে গৃহবধূকে একা পেয়ে ওই গ্রামের আব্দুল্লাহ আমজেদ ও সিরাজকে সাথে নিয়ে গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।এ ঘটনার পর এলাকায় জানাজানি হলে নড়েচড়ে বসেন স্থানীয় মাতব্বররা। গত বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশ বসানো হয়। সালিশে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আদুল হোসেন, আব্দুল আহাদ ও আকবার আলী নেতৃত্ব দেন। সালিশের একপর্যায়ে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ার কারণে তাদেরকে বেদমভাবে মারপিট করা হয় এবং ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন মাতব্বররা।কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আদুল হোসেন জানান, ঘটনাটি শুনে এলাকাবাসীর অনুরোধে সালিশি বৈঠকে বসা হয়েছে। তবে ৩ লাখ টাকা জরিমানা আদায়ের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম রবিউল ইসলাম বলেন, ঘটনা জানতে পেরে ভিকটিম গৃহবধূকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনা সত্যতা পাওয়া গেছে। মামলা করার প্রস্তুতি চলছে এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর