জাতীয় ক্রীড়া অবকাঠামোর প্রাণকেন্দ্র ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। এক সময় আবাহনী-মোহামেডানের গর্জনে কেঁপে উঠত যে মাঠ, সেটি এখন মালিকানা ও ব্যবহারের নতুন বিতর্কে।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) চায়, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের মতো জাতীয় স্টেডিয়ামও শুধু তাদের অধীনে থাকুক—যেন এটিকে ‘ফুটবলের ঘর’ হিসেবে গড়ে তোলা যায়। বাফুফের সহ-সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর বলেন, ‘এটি শুধুই একটি খেলার মাঠ নয়, বরং ঢাকার ভেতরে ‘সব সুবিধা সমেত’ ফুটবলের জন্য আদর্শ ভেন্যু। তাই এটিকে ‘হোম অব ফুটবল’ বানানোর ইচ্ছা থেকেই সরকারের কাছে পুরো ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।’এ নিয়ে সরকারের অবস্থানও অনেকটা ইতিবাচক। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার নেতৃত্বে চলছে প্রক্রিয়া।তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে—জাতীয় স্টেডিয়াম কি শুধু ফুটবলের? জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘এখানে শুধু ফুটবল নয়, নিয়মিত অ্যাথলেটিক্স ইভেন্টও হয়। স্টেডিয়ামের চারপাশে অ্যাথলেটিক্স ট্র্যাক থাকাটা কোনো সমস্যা নয়। বিশ্বের অনেক নামী স্টেডিয়ামেও এমন ট্র্যাক থাকে।’তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতেও প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলো চাইলে এটি হোম ভেন্যু হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। অতীতে যেমন আবাহনী ও মোহামেডান এই স্টেডিয়ামকে নিজেদের ঘরের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করেছে।এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন জাগে—জাতীয় স্টেডিয়াম কি এককভাবে কোনো ফেডারেশনের হাতে তুলে দেওয়া উচিত, নাকি বহুমুখী ব্যবহারের পথেই থাকা উচিত?
Source: সময়ের কন্ঠস্বর