ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ক্লাবগুলো যেন ঝড় তুলেছে। ইউরোপের শক্তিশালী দলগুলো একের পর এক হেরে যাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার এসব দলের কাছে। পরশু রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ বিজয়ী ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজিকে হারিয়ে আলোচনায় আসে বোতাফোগো। তার ঠিক পরদিনই চেলসিকে হারিয়ে চমক দেখাল ফ্ল্যামেঙ্গো।শুক্রবার (২০ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় চেলসির বিপক্ষে প্রথমে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গো।এই জয়ের মাধ্যমে ৩৩ বছর পর কোনো দক্ষিণ আমেরিকান দল ইউরোপিয়ান দলের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও জয় তুলে নিল। এর আগে ১৯৯২ সালে ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে বার্সেলোনার বিপক্ষে সাও পাওলো এমন একটি জয় পেয়েছিল।এছাড়া, ইউরোপের বাইরে কোনো ক্লাব ২৫ বছর পর প্রথমবার ইউরোপিয়ান শক্তিকে দুই বা ততোধিক গোলে হারাল। সর্বশেষ ২০০০ সালের জানুয়ারিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ভাস্কো দা গামা ৩-১ গোলে হারিয়েছিল।লিংকন ফিনানশিয়াল ফিল্ডে ৫৪ হাজার দর্শকের সামনে ম্যাচের ১৩ মিনিটেই চেলসির পেদ্রো নেতোর গোলে পিছিয়ে পড়ে ফ্ল্যামেঙ্গো। তবে দৃশ্যপট পাল্টে যায় দ্বিতীয়ার্ধে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে ব্রুনো হেনরিকের গোলে সমতায় ফেরে ফ্ল্যামেঙ্গো। তিন মিনিট পর কর্নার থেকে আসা বল দারুণভাবে হেড করে দানিলোর কাছে বাড়িয়ে দেন হেনরিক। এরপর দারুণ এক ভলিতে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন দানিলো।চেলসির বিপদ আরও বাড়ে নিকোলাস জ্যাকসন লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া চেলসি আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ৮৩ মিনিটে ওয়ালাসে ইয়ানের গোলে ৩-১ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে ফ্ল্যামেঙ্গো।বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলেও, এই ঐতিহাসিক জয়ের মাধ্যমে ২ ম্যাচে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ফ্ল্যামেঙ্গো নিশ্চিত করেছে শেষ ষোলো। অন্যদিকে চেলসি ও ইএস তিউনিসের পয়েন্ট ৩ করে। গ্রুপের শেষ ম্যাচে এই দুই দলের মুখোমুখি লড়াই নির্ধারণ করবে কে যাবে ফ্ল্যামেঙ্গোর সঙ্গে পরের রাউন্ডে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর