চলতি মৌসুমে বোরো ধান মাড়াই ও ঘরে তোলার ব্যস্ততা শেষে আবারও রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে প্রান্তিক চাষিদের।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা জমিতে আমন বীজতলা বোপণে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গত দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে উপজেলা জুড়ে স্থানীয় বাজারগুলোতে কৃষকদের ধান বীজ ক্রয়-বিক্রয়ে যেন হিড়িক পড়েছে।উপজেলার বালারহাট, গংগাহাট ও খরিবাড়ী হাটে গিয়ে দেখা গেছে, দুর দুরান্ত থেকে কৃষকরা এসে মাটিতে চট বিছিয়ে আমন ধানের বীজ বিক্রি করছেন। এদিকে বীজ ক্রয় করতে বিভিন্ন দোকানে ভীড় করছেন কৃষকরা। তবে কৃষকরা এ বছর আমন ধানের বীজ কম দামে ক্রয় করতে পেরে খুশী। অপর দিকে এ বছর ধান বীজের দাম কম থাকায় বিক্রেতাদের মূখে হাসি না থাকলেও লোকসানের চিন্তা নেই। কারণ প্রত্যেক বিক্রেতার নিজস্ব (বাড়ির সংগ্রহ করা) বীজ। গজের কুটি এলাকায় কৃষক সুবল চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ৬ কেজি আমনের বীজ (বঙ্গবন্ধু -১) ১ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে ক্রয় করেছি। এবছর বাড়ির বীজ ২৫ কেজি ও বাজার থেকে ২৫ কেজি ক্রয় করে আজ থেকে ছয়দিন আগে বীজ বোপণ করা হয়েছে। তবে বছর ছয় কেজি ও পাঁচ কেজি ধান বীজের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। পূর্বফুলমতি গ্রামের কৃষক নুরনবী জানান, গত বছরের চেয়ে এ বছর আমনের ধান বীজের দাম কম থাকায় বাজারে স্থানীয় কৃষকদের কাছে ১০ কেজি বঙ্গবন্ধু-১ আমন ধানের বীজ মাত্র ৫০০ টাকায় ক্রয় করেছি।বালারহাট বাজারে আমন ধানের বীজ বিক্রেতা মমিন ইসলাম, মমিনুল ইসলাম ও নরেশ চন্দ্র রায় জানান, গত বছর ৫ কেজি ধান বীজ বিক্রি করেছি কমপক্ষে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। এ বছর ধান বীজে দাম নেই। আমরা ৫ কেজি ধান বঙ্গবন্ধু-১ এর বীজ বিক্রি করছি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এ সব ধান বীজ তাদের নিজস্ব হওয়ায় তাদের কোন লোকসানের চিন্তা নেই। কৃষকরা জানিয়েছেন আরও এক থেকে দেড় সপ্তাহ ধরে ধান বীজ বোপণ করবেন তারা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোছা: নিলুফা ইয়াছমিন বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন ধানের বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫০ হেক্টর। কৃষি বিভাগ ইতোমধ্যে কৃষি প্রনোদনা হিসাবে ১ হাজার ৬৫০ জন কৃষক-কৃষাণীর মাঝে বিনামূল্যে রোপা আমন ধানের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ৪৫০ বোপণ করা হয়েছে। এ বছর রোপা আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩৫০ হেক্টর।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর