মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই এবার নিজের সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে তুরস্ক। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, সীমান্ত এলাকায় নজরদারি ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করা হয়েছে।রয়টার্সের বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান থেকে এখনও পর্যন্ত কোনও অনিয়মিত অভিবাসীর ঢল দেখা না গেলেও তুরস্ক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নিরাপত্তা প্রস্তুতি বাড়িয়েছে।সূত্র অনুযায়ী, তুরস্ক তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি রাডার ও অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে একটি সমন্বিত আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে, যার লক্ষ্য হলো সম্ভাব্য যেকোনো সংঘাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিশ্চিত করা।ইসরায়েল যখন ইরানে সামরিক অভিযান শুরু করে, ঠিক তার পরপরই তুরস্কের ‘কুইক রিঅ্যাকশন অ্যালার্ট’ যুদ্ধবিমান আকাশে টহল দিতে শুরু করে। এরপর থেকেই তুর্কি ফাইটার জেটগুলো সীমান্ত অঞ্চলে নিয়মিত টহল চালিয়ে যাচ্ছে যাতে কেউ তাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করতে না পারে।প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ স্থলসীমান্ত রয়েছে ইরান ও তুরস্কের মধ্যে। যদিও সিরিয়া ইস্যু সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে, তারপরও বাণিজ্যিক দিক থেকে দুই দেশ একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে প্রাকৃতিক গ্যাস ও জ্বালানির ক্ষেত্রে।এর আগে, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি একে ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ইরান বৈধভাবে আত্মরক্ষা করছে।ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এরদোয়ান বলেন, ‘ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পরমাণু আলোচনার ফলাফল না জেনেই ইসরায়েল ইরানে হামলা চালিয়েছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।’তিনি আরও জানান, আঙ্কারা এই সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান দেখতে চায় এবং তুরস্ক গঠনমূলক ও কূটনৈতিক ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর