স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, পুলিশ মাদক নিয়ন্ত্রণে খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলি করার পরেও তারা তিনজনকে আটক করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পল্টনে মাদক বিরোধী অভিযানে গুলির ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান।উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিল, চট্টগ্রাম থেকে একটি গাড়ি আসছে। যেটার ভেতরে মাদক আছে।’ এই তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির লালবাগ বিভাগের একটি টিম ফকিরাপুল এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে তল্লাশি চালায়। এই সময় একটি গাড়িকে থামার সিগন্যাল দিলে গাড়িটি সামনে এগিয়ে যায়। প্রায় ৬০০ গজ সামনে যাওয়ার পর গাড়িটি থামানো হয়। গাড়ি থেকে একজন গুলি করলে আমাদের তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এর মধ্যে অভিযানে নেতৃত্বদানকারী সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) আহত হয়েছেন। এছাড়া আহতদের মধ্যে একজন কনস্টেবল ও এএসআই রয়েছে।আহতদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘গুলিতে এএসআই পেটে গুলি লেগেছে। তবে তার কোনো অর্গানে না লাগায় তিনি শঙ্কামুক্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করা হবে। এরপর অপারেশন করে গুলিটা বের করা হবে। এছাড়া কনস্টেবলের পায়ে গুলি লেগেছে। তাকে আজকেই রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’এই ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার ও গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। গাড়ি থেকে ৯ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশ খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করেছে। গুলি করার পরেও তারা ৩ জনকে আটক করেছে। মাদক ও গাড়ি জব্দ করেছে। জীবন বাজি রেখে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।’পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার নিয়ে কথা উঠেছে। কিন্তু সন্ত্রাসীদের হাতে ভারী অস্ত্র- জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ‘এই ঘটনায় ভারী অস্ত্র ব্যবহার হয়নি। পিস্তল ব্যবহার হয়েছে।’তিনি বলেন, ‘পুলিশের যে ধরনের অস্ত্র দরকার, সেটা দিয়েই কাজ করবে।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা বেশি সুযোগ নিতে পারছে না। কারণ পুলিশ সাহসিকতার সঙ্গে গুলির পরেও তাদের আটক করেছে।’এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর