কক্সবাজার টেকনাফের নাফনদ থেকে সীমান্ত প্রহরী বিজিবি সৈনিকরা জেলে ছদ্মবেশী দুই রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। এ সময় পাচারে ব্যবহৃত নৌকার পাটাতনের নিচে বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবাও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান পিএসসি। তিনি জানান, গোপন সংবাদের মাধ্যমে বিজিবি জানতে পারে, টেকনাফ সদর নাজিরপাড়া বিওপির অন্তর্গত সীমান্ত এলাকার নাফনদ হয়ে মিয়ানমার থেকে আসা একটি মাদকের চালান টেকনাফ উপকূলে প্রবেশ করবে। উক্ত সংবাদের তথ্য অনুযায়ী বিজিবি সৈনিকদের একটি দল বাংলাদেশ জলসীমায় নাফনদের বেশ কয়েকটি পয়েন্ট কৌশলগত অবস্থান নেয়। অবশেষে বুধবার রাত ১১টার দিকে সন্দেহভাজন একটি ফিশিং নৌকা মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করে এগিয়ে আসতে দেখে বিজিবি সৈনিকরা উক্ত নৌকাটিকে থামানোর চেষ্টা করে। নৌকায় থাকা পাচারকারীরা নির্দেশ অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি ধাওয়া করে ফিশিং নৌকাটি জব্দ করার পাশাপাশি জেলে ছদ্মবেশী দুই রোহিঙ্গা মাদক পাচারকারীকে আটক করে। এরপর জব্দকৃত নৌকাটি তল্লাশি করে পাটাতনের ভিতরে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ১,২০,০০০ ইয়াবার চালানও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ধৃত দুই পাচারকারী হচ্ছে মিয়ানমারের মংডুর ডেইলপাড়ার মো. জুবায়ের (২০) এবং একই এলাকার নুরুল আমিন (২২)। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দুজন স্বীকার করেছে যে ইয়াবার চালানটি টেকনাফের মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে হস্তান্তর করার জন্য ওপার থেকে এপারে প্রবেশ করেছে। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সেই সমস্ত মাদক কারবারিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য বিজিবির গোয়েন্দা নজরদারি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।ইয়াবার চালানসহ আটক দুই পাচারকারীর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা দায়ের করার জন্য টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর