রাজধানীর সরকারি সাত কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্থগিত হওয়া ভর্তি পরীক্ষা কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। বুধবার (১৮ই জুন) অনুষ্ঠিত সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নিয়মিত সভায় ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের ব্যাপারে আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়নি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে সাত কলেজের অধিভুক্তি বাতিল এবং কলেজগুলো নিয়ে গঠিত হতে যাওয়া নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি না হওয়ায় আসন্ন শিক্ষাবর্ষে কোন কর্তৃপক্ষের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। সাত কলেজের অন্তর্বর্তী প্রশাসনের নিয়মিত সভা শেষে এ তথ্য জানান সাত কলেজের অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসক ও ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম ইলিয়াস। তিনি বলেন, ‘মিটিংয়ে কিছু বিষয়ে অগ্রগতি হলেও ভর্তিবিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিতে হলে আমাদের আগামী সপ্তাহে আরেকটি সভার আয়োজন করতে হবে। টেকনিক্যাল কিছু জটিলতার কারণে আমরা এখনই বিজ্ঞাপন দিতে পারছি না।’ এই টেকনিক্যাল জটিলতা প্রসঙ্গে প্রশাসক জানান, ‘আমরা এখন কোথায় আছি—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে, না কি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে—এটা স্পষ্ট নয়। ফলে ভর্তি পরীক্ষার পুরো প্রক্রিয়া কীভাবে এগোবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এসব বিষয় পরিষ্কার করেই আমরা পরবর্তী সভায় বসব।’ পরীক্ষার সময়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ধরে নিচ্ছি, আগস্ট অথবা সেপ্টেম্বরে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি চলছে। তবে প্রক্রিয়াগত জটিলতা না কাটলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের সমস্যা বা এমনকি মামলা হতে পারে। সেজন্য আরেকটি সভা আমাদের করতে হচ্ছে।’ সভায় সাত কলেজের অধ্যক্ষবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা), একজন প্রতিনিধি, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার, এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর তিনজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, পূর্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত থাকা সরকারি কলেজসমূহ হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল সরকারি কলেজ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে উপরোক্ত সাতটি কলেজের অধিভুক্তি বাতিল এবং কলেজগুলোর সমন্বয়ে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর