কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জেরে স্থানীয় তিন আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।বুধবার (১৮ জুন) ভোরবেলায় উপজেলার পৌর সদরের কুঁড়তলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাতার বাজার এলাকায় যুবদল নেতা ও বিএনপি কর্মীকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। এ সময় একটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়।গুরুতর আহতরা হলেন, পাকুন্দিয়া পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ ও বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলাম। তাদেরকে প্রথমে পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে দু’জনকেই শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাতার বাজার এলাকায় পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শরীফ ও বিএনপি কর্মী নজরুল ইসলামকে কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে দুজনকেই শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই হামলার সময় একটি মোটরসাইকেল আটক করে আগুন ধরিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সেই মোটরসাইকেলটি আওয়ামী নেতা সাদ্দামের বলে শনাক্ত করে স্থানীয়রা। এর জেরে বুধবার সকালে উপজেলার কুঁড়তলা এলাকার ঈসামুদ্দিন মাস্টারের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে।এ হামলায় ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সাদ্দামের দুই প্রতিবেশী মোস্তফা ও হুমায়ুনের বাড়িতেও হামলা চালায় ক্ষুব্ধরা।এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াৎ হোসেনের সঙ্গে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার জেরে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারির ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি দলীয় সংঘর্ষ কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর