ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও সরেজমিন পরিদর্শনে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার (১৭ জুন) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাসেল ইকবাল এবং উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম।জানা যায়, উপজেলার পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের বেড়িরহাট বাজার থেকে ভেন্নাতলা বাজার পর্যন্ত ৩,৭০১ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি সড়ক সংস্কারের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ। গত ১৪ জুন বিকেলে ভেন্নাতলা বাজার অংশে শুরু হয় কার্পেটিংয়ের কাজ, যা প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত সম্পন্ন হয়।পরদিন সকালেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায় কার্পেটিংয়ে হাত দিলেই তা উঠে আসছে। এ দৃশ্য দেখে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। অভিযোগ ওঠে নিম্নমানের বিটুমিন ও অন্যান্য সামগ্রী ব্যবহারের।বিষয়টি জানার পর সোমবার (১৬ জুন) বিকেলে ইউএনও রাসেল ইকবাল, উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা সরেজমিনে গিয়ে কাজ পরিদর্শন করেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা জানান, সড়ক সংস্কারে ইস্টিমেট অনুযায়ী কাজ হয়েছে এবং কোথাও অনিয়মের প্রমাণ মেলেনি।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফা মাহমুদ জানান, “শিডিউল অনুযায়ী কাজ চলছে। কার্পেটিংয়ের পর অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় না দিলে তা সম্পূর্ণভাবে স্থায়ী হয় না। ওই অংশে বিকেলে কাজ হয়েছিল, কিন্তু পরদিন সকালে মোটরসাইকেলের ব্রেক করার সময় কার্পেটিং ভাঁজ হয়ে যায়। স্থানীয়রা বিষয়টি ভুলভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।”এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী রাহাত ইসলাম বলেন, ‘পরিদর্শনে গিয়ে অনিয়মের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কার্পেটিং স্থায়ী হতে সময় লাগে। ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই কেউ সেটি পরীক্ষা করলে ভেঙে যেতে পারে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবাল বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকৌশল কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে পরিদর্শনে যাই। কাজ শিডিউল অনুযায়ী হয়েছে বলে ব্যাখ্যা পেয়েছি, যা সন্তোষজনক মনে হয়েছে। এলাকাবাসী শুরুতে না বুঝে ভুল ধারণা করেছিলেন, পরে তারা বিষয়টি উপলব্ধি করেছেন এবং এখন সন্তুষ্ট।’আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর