মাইগ্রেনের ব্যথা অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস বা পরিবেশ এই ব্যথাকে আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মাইগ্রেনের সময় জীবনযাপনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। মাইগ্রেনের মাথাব্যথার কারণে ঘরের নীরব আর অন্ধকার কোণায় গিয়ে আশ্রয় খোঁজেননি- মাইগ্রেন আক্রান্ত এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। মাইগ্রেনের ব্যথা তীব্রতর হলে অনেক সময় বমিও করেন অনেকে। সাথে বাড়তি পাওনা থাকে হতাশা আর মুড সুইং। যারা মাইগ্রেনে ভোগেন তারা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনে অনেক পরিবর্তন আনেন, খাবার-দাবাড়ের অভ্যাসে পরিবর্তন আনেন, যাতে করে মাইগ্রেন নিয়ে বসবাস কিছুটা সহজ হয়।জেনে নেয়া যাক মাইগ্রেন থাকলে কোন কোন কাজ এড়িয়ে চলা উচিত—তীব্র আলো: তীব্র রোদ বা কৃত্রিম আলো মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়াতে পারে। তাই এই ধরনের পরিবেশ থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।উচ্চ শব্দ: জোরে গান শোনা বা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় থাকলে মাথাব্যথা তীব্র হতে পারে। শান্ত পরিবেশে থাকার চেষ্টা করুন।দীর্ঘ সময় স্ক্রিন দেখা: স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা টিভি স্ক্রিনে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলে মাইগ্রেন শুরু বা অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে। মাঝেমধ্যে চোখকে বিশ্রাম দিন।মানসিক চাপ: উদ্বেগ বা মানসিক চাপ মাইগ্রেন ট্রিগার করতে পারে। তাই চাপমুক্ত থাকতে মেডিটেশন, হালকা ব্যায়াম বা পর্যাপ্ত বিশ্রামে গুরুত্ব দিন।নির্দিষ্ট খাবার: চকলেট, পনির, চেরি ও অ্যালকোহলসহ কিছু খাবার মাইগ্রেন বাড়াতে পারে। ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদামও ব্যথা বাড়াতে পারে। নিজের শরীরের প্রতিক্রিয়া বুঝে এসব খাবার এড়িয়ে চলুন।ঘুমের অভাব: নিয়মিত ঘুম না হলে মাইগ্রেনের ঝুঁকি বাড়ে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করুন।দীর্ঘক্ষণ শুয়ে থাকা বা বসা: অতিরিক্ত সময় এক ভঙ্গিতে থাকার কারণে মাথাব্যথা বাড়তে পারে। মাঝে মাঝে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন।ক্যাফেইন গ্রহণ: চা বা কফির মতো ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় বেশি খেলে মাইগ্রেন বেড়ে যেতে পারে। সীমিত পরিমাণে গ্রহণ করাই ভালো।না খেয়ে থাকা: অনেকেই ব্যস্ততায় সকালে নাস্তা বাদ দেন বা দুপুরের খাবার দেরিতে খান। এতে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে গিয়ে মাথাব্যথা শুরু হতে পারে। তাই সময়মতো পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত।অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম: হঠাৎ করে বা অতিরিক্ত ব্যায়াম করলে মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। হালকা ব্যায়ামে সীমিত থাকুন।তাপমাত্রার হঠাৎ পরিবর্তন: হঠাৎ ঠান্ডা বা গরম পরিবেশে প্রবেশ করাও মাইগ্রেনের জন্য ক্ষতিকর। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা পরিবর্তন করুন।অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ: ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত ব্যথানাশক ওষুধ সেবনে মাইগ্রেনের উপশম না হয়ে বরং সমস্যা বাড়তে পারে। ওষুধ গ্রহণে সতর্ক থাকুন। এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর