নারীর টানে বাড়ি ফেরা মানুষ পরিবারের সাথে পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপন শেষ করে আবার ঢাকায় কর্মস্থলে  ফিরতে শুরু করেছে। জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের সিট নেই। তীব্র গরমে ছাদে চড়ে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে ঢাকামুখী হচ্ছেন মানুষ। প্রতিদিন দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে ঢাকাগামী হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা সহ আশপাশের জেলা গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, ও জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার ট্রেন দিয়ে চলাচল করেন। প্রতিদিন দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর ১টায় ঢাকায় ছেড়ে যায় কমিউটার বিকেল ৩টায় তিস্তা এক্সপ্রেস ভোর ৫টায় কমিউটার এবং ৬টা ৪৫ মিনিটে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ও ঈদের সময় ঈদ স্পেশাল ট্রেন যাতায়াত করেন। গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা থেকে কয়েকজন ট্রেন যাত্রী জানান, ট্রেনের ছাদে প্রচণ্ড রোদ। ছাদ এতটাই উত্তপ্ত হয়েছে যে সেখানে ডিম দিলে ভাজা হয়ে যাবে। আমরা ৫ থেকে ৭ ঘণ্টা কিভাবে সেখানে থাকব, আবার নৌকা দিয়ে যুমনা নদী পার হয়ে আসতে হয় প্রচন্ড রোদে। কিন্তু এসে সিট পাই নাই বাধ্য হয়ে ট্রেনের ছাদে চড়ে যাই আমরা। দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের ট্রেনের যাত্রীর আসনসংখ্যা সীমিত, গতকাল এই ট্রেনে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী ঢাকা রওনা করেছেন। আজও প্রচুর যাত্রী হবে, এত সিট আমরা কিভাবে দেব? দু-তিনটি জেলার লোক এই ট্রেনের ওপর ভরসা করে ঢাকা যাতায়াত করে। তিনি এই রুটে যেন আরো দুইটি ট্রেন দেওয়া হয় সেই অনুরোধ করেন।দেওয়ানগঞ্জ রেলস্টেশন মাস্টার আব্দুল বাতেন সময়ের কন্ঠস্বরে কে  বলেন, দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ৪টি ট্রেন চলাচল করে। তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত কম্পিউটার ট্রেনসহ ৪টি ট্রেনের মোট সিটের সংখ্যা ৪০০ আর যাত্রীসংখ্যা ৭ থেকে ১০ হাজার। এত অধিকসংখ্যক যাত্রীদের সিট দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই তারা ছাদে উঠে পড়ে। প্রচণ্ড রোদে যেখানে রুমের ভেতর থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেখানে এই যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা রওনা করেছেন। এইচএ

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন