সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাহাঙ্গীর আলম নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এতে বিপাকে পড়েছে ২০টি দোকানের ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে রেলওয়ে বিভাগে ও উল্লাপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।জানা যায়, উপজেলার পূর্ণীমাগাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্টা গ্রামের মহামিনুল ইসলাম বাবু রেলওয়ের কাছ থেকে ২৫ শতাংশ জায়গা ইজারা নিয়ে ২০২৩ সালে লাহিড়ী মোহনপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশে বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেট নির্মাণ করেন। সেখানে ২০টি দোকানঘর ভাড়া নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে বিভিন্ন লোকজন। বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেটের সামনেই জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জন ৪০ স্কয়ারে একটি জায়গা শর্তসাপেক্ষে রেলওয়ের কাছে থেকে ইজারা নিয়েছে।তবে জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেটের লোকজনের চলাচলের রাস্তা দিতে রাজি হওয়ার পর মার্কেট নির্মাণ করেন মহামিনুল ইসলাম বাবু। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্কেটের ব্যবসায়ীদের চলাচলের রাস্তা বুঝিয়ে না দিয়ে নতুন করে সেই রেলওয়ের জায়গাটি রাস্তাসহ অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেটের ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের জায়গা বিক্রির নিয়ম না থাকলেও সেই জায়গা ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে বিক্রির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে উপজেলার গয়হাট্টা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ টুটুল, মোঃ নুরের বিরুদ্ধে।এ বিষয়ে মোঃ টুটুল জানান, রেলওয়ের কাছে থেকে আমরা ইজারা নিয়েছি, ঠিকমতো খাজনা পরিশোধ করছি। এই জায়গা বিক্রি করতে কোনো আইনগত সমস্যা নেই, সবাই বিক্রি করে আমিও করছি। বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেটের রাস্তা বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার জায়গা ছাড়াও চলাচলের ভিন্ন পথ রয়েছে।’এ বিষয়ে বাবু রেলওয়ে সুপার মার্কেটের মালিক মোহামিনুর ইসলাম বাবু বলেন, ‘তার ২৫ শতাংশ জায়গায় ওপর ২০২৩ সালে মার্কেট নির্মাণ করা হয়। এর আগে তার দোকানের সামনের জায়গার মালিক জাহাঙ্গীরের সাথে কথা বলা হয়। সেসময় জাহাঙ্গীর মার্কেটের চলাচলের জন্য রাস্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে। তবে চলাচলের রাস্তা না দিয়ে সেই রাস্তাসহ জায়গাটি বিক্রি করেছে। এতে তার মার্কেটে ২০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।’ তিনি আরো জানান, রেলওয়ের ইজারাকৃত সম্পত্তি বিক্রির নিয়ম নেই।এ বিষয়ে উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান জানান, ‘তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এ বিষয়ে পাকশি রেলওয়ে অঞ্চলের বিভাগীয় ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা আব্দুর রহিম জানান, ‘রেলওয়ের জায়গা ইজারা নিয়ে কেউ যদি এটি বিক্রি করে তাহলে ইজারার শর্ত ভঙ্গ হবে। কেউ যদি এমন কাজ করে তাহলে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর