মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা হুমকির কারণে ইরাকের বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে অপ্রয়োজনীয় কর্মী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।যদিও ঠিক কী কারণে এই আংশিক সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা স্পষ্ট করা হয়নি, তবে মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ইসরায়েল ইরানে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরই প্রেক্ষাপটে ইরান এবং ইরাকে অবস্থিত মার্কিন স্থাপনাগুলোর ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবেই আমাদের দূতাবাসগুলোর জনবল কাঠামো পর্যালোচনা করি। সর্বশেষ পর্যালোচনার ভিত্তিতে ইরাকে মিশনের সদস্য সংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’এদিকে, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলা আলোচনায় কোনও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি না হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। এমন প্রেক্ষাপটে, ইরান যদি সামরিক পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়, তবে তেহরানের পক্ষ থেকেও পাল্টা প্রতিক্রিয়া আশা করা হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই অঞ্চলটি এখন অনেক বেশি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, তাই কিছু আমেরিকানকে সেখান থেকে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’প্রসঙ্গত, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তি নিয়ে আশাবাদী থাকলেও এখন সেই প্রত্যাশা অনেকটাই ম্লান হয়ে এসেছে। কিছুদিন আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার এক দীর্ঘ ফোনালাপ হয়, যা ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ ছিল বলেও জানা গেছে। নেতানিয়াহু দীর্ঘদিন ধরেই ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।অন্যদিকে, ইরানি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায়, তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন ঘাঁটিগুলোও ইরানের পাল্টা হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।’এছাড়া মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কুয়েত, বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে অবস্থানরত মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের স্বেচ্ছা প্রস্থানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর