কার্লো আনচেলত্তির ৬৬তম জন্মদিনে বিশ্বকাপের টিকিট উপহার দিয়েছে ভিনিসিয়াস-রাফিনহারা। আনচেলত্তির অধীনে দ্বিতীয় ম্যাচেই দারুণ সাফল্য পেল ব্রাজিল। প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়ে সরাসরি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে সেলেসাওরা। ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন,‘এটা ছিল সম্পূর্ণ এক ম্যাচ। প্রথমার্ধে আমরা দারুণ খেলেছি, বলের নিয়ন্ত্রণ রেখেছি যদিও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারিনি। দ্বিতীয়ার্ধে গতি কিছুটা কম ছিল, তবে সামগ্রিকভাবে আমি খুব সন্তুষ্ট।’আনচেলত্তি প্রথম একাদশে পরিবর্তন এনে গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেলি, রাফিনহা ও মাতেউস কুনহাকে খেলিয়েছিলেন। তার কৌশল নিয়ে তিনি বলেন,‘আমার লক্ষ্য ছিল আক্রমণভাগে কিছুটা ভিন্নতা আনা। মার্টিনেলি ও ভিনি পজিশন বদল করেছে, কুনহা বল ধরে রাখার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। পুরো দলই দুর্দান্ত কম্বিনেশনে খেলেছে।’ কুনহার ভূমিকা সম্পর্কে আনচেলত্তি আরও যোগ করেন,‘আজ কুনহা একজন স্ট্রাইকার ছিল না বরং একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ছিল। সে ভালো করেছে।’নেইমার প্রসঙ্গে আনচেলত্তি বলেন,‘আমি ওকে হোটেলে দেখেছি, আলিঙ্গন করেছি। যখন ও ফিট থাকবে তখন যে কোনো পজিশনে খেলতে পারবে, এমনকি কুনহার মতো ১০ নম্বর হিসেবে খেললেও খুব কার্যকর হবে।’ আনচেলত্তি জানান আগামী তিন মাসের পরিকল্পনায় রয়েছে নতুন খেলোয়াড়দের বিশ্লেষণ করা। ‘আমার হাতে প্রায় ৭০ জন খেলোয়াড়ের তালিকা আছে। সবাইকে নজরে রাখা হবে। বিশ্বকাপের চূড়ান্ত স্কোয়াড এখনও নির্ধারিত নয়।’ বলেন রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই কোচ।গোল না খাওয়ায় আনচেলত্তি রসিকতা করে বলেন,‘আমি তো ইতালিয়ান।’ এরপর তিনি আরও বলেন,‘আমাদের ডিফেন্স ভালো করেছে। কাসেমিরোসহ মিডফিল্ডাররা অনেক পরিশ্রম করেছে। তাই আমি খুশি।’ তিনি ফুটবলের আবেগ নিয়েও কথা বলেন,‘সব অঞ্চলে খেলা হওয়া উচিত, এটা ব্রাজিলের ফুটবলপ্রেমী মানুষদের জন্য উপভোগ্য করে তোলে। এই আবেগই বিশ্বকাপে আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ভিনির পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আনচেলত্তি বলেন,‘তার দক্ষতা অসাধারণ। আজ সে দুর্দান্ত খেলেছে।’ পাশাপাশি রাফিনহা, মারকুইনহোস, কাসেমিরোদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন,‘দলীয় চেতনা, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ, খেলোয়াড়দের আন্তরিকতা সবকিছু ছিল দারুণ।’এই জয়ের পর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ১৬তম ম্যাচ শেষে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে লাতিন আমেরিকা অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করল ব্রাজিল।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর