রমজান ও ঈদুল আজহার সময় নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ব্যয়বহুল ও রাজনৈতিকভাবে সমস্যাজনক উল্লেখ করে নির্বাচন আয়োজনের সময় পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।মঙ্গলবার (১০ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের সময় রোজা ও ঈদের পরে হওয়া উচিত নয়। কারণ, এতে ব্যয় বৃদ্ধি পাবে এবং রাজনৈতিক কর্মীদের সমস্যা হবে।’তিনি আরও বলেন, ‘এই সময় প্রচণ্ড গরম, ঝড়-বৃষ্টি থাকে। ফলে দিনের বেলা জনসভায় মানুষ আনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। তখন রাতেই মিটিং করতে হবে। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার ব্যয় দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে, যা প্রস্তুতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’সংবিধান সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সংস্কার কমিটিগুলোর প্রশ্নগুলো অনেকটা পরীক্ষার খাতা টিক দিয়ে পূরণের মতো। কিন্তু রাজনীতি কি টিক মার্ক দিয়ে হয়? আমরা বলেছি, প্রধানমন্ত্রী যেন পরপর দুবারের বেশি ক্ষমতায় থাকতে না পারেন। একবার বিরতি দিয়ে পুনরায় হতে পারবেন। এটাও বড় ধরনের একটি সংস্কার। এই বিষয়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে।’তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক আগেই বলেছিলাম, কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তখন অনেকে সেটা উড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এখন বাস্তবতা প্রমাণ করছে, কেয়ারটেকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনকালীন বাস্তবতা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকার নির্বাচন আয়োজনের সময় পুনর্বিবেচনা করবে।প্রসঙ্গত, ঈদুল আজহা উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনার কথা জানান। এ ঘোষণার পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর