একসময় লিওনেল মেসির উপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল ছিল আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দল। প্রত্যাশার চাপ অনেক সময়ই মেসিকে করে তুলেছিল একাকী যোদ্ধা। তবে সময় বদলেছে। ২০২২ সালের কাতার বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা এখন আর আগের মতো শুধুই ‘মেসিনির্ভর’ নয়—এমনটাই মনে করেন দলটির প্রধান কোচ লিওনেল স্ক্যালোনি।আসন্ন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে কলম্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন (মঙ্গলবার) এক সংবাদ সম্মেলনে স্ক্যালোনি বলেন, ‘এই দল এখন এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে মেসি থাকুক বা না থাকুক, একই ধরনের ফুটবল খেলতে সক্ষম। এটা অতীতে অনেক কঠিন ছিল। আমাদের কিছু খেলোয়াড় বদলাতে হয়েছে, তবে এখন সে প্রয়োজনীয়তা নেই। দলটি এখন পরিণত, যার একটি নির্দিষ্ট খেলার ধরন গড়ে উঠেছে।’স্ক্যালোনির নেতৃত্বে আর্জেন্টিনা ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা এবং ২০২২ সালের বিশ্বকাপ জিতেছে, যেখানে মেসির নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্স ছিল অনবদ্য। তবে কোচ মনে করছেন, দলের সামগ্রিক শক্তি এখন এতটাই উন্নত হয়েছে যে, একা মেসির উপর নির্ভর না করেও দল সাফল্য অর্জনে সক্ষম।গত সেপ্টেম্বরে মেসিকে ছাড়াই কলম্বিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। তবে এবার বাছাইপর্বের ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক মেসির নেতৃত্বে মাঠে নামবে দলটি। যদিও চলতি বাছাইপর্বে ইনজুরির কারণে বেশিরভাগ ম্যাচেই মাঠের বাইরে ছিলেন ইন্টার মায়ামিতে খেলা এই তারকা ফুটবলার।এর মাঝেও আর্জেন্টিনা দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা নিশ্চিত করেছে। উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে মার্চের ম্যাচগুলোতে মেসিকে ছাড়াই যথাক্রমে ১-০ ও ৪-১ ব্যবধানে জেতে তারা।সবশেষ চিলির বিপক্ষে ম্যাচেও বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। সেই ম্যাচেও ১-০ গোলের জয় পায় আলবিসেলেস্তেরা।দলের ভবিষ্যৎ ও প্রস্তুতি নিয়ে স্ক্যালোনি আরও বলেন, ‘এটা দুর্দান্ত এক দল। আমাদের দুর্দান্ত খেলোয়াড় রয়েছে, যাদের স্পষ্ট খেলার ধরন আছে। আমরা প্রতিপক্ষের শক্তি ও দুর্বলতা বিশ্লেষণ করি, খেলোয়াড়দের বুঝিয়ে দেই কোন জায়গায় কী করতে হবে। আগামী ম্যাচটা চমৎকার হতে যাচ্ছে, বিশেষ করে আমরা ঘরের মাঠে খেলছি—এটা দেশের মানুষের জন্য আমাদের খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সরাসরি দেখার এক বড় সুযোগ।আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৯২ ম্যাচে ১১২ গোল করা মেসি আগামি বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে কোচ ও দলের উপর মেসির প্রভাব, এখন আগের চেয়ে অনেকটাই পরিমিত ও ভারসাম্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন ফুটবল বিশ্লেষকরা।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর