কিশোরগঞ্জের ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ভাঙচুরসহ উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। সোমবার (৯ জুন) দুপুরে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে মোল্লা বাড়ির বংশের সাথে মইন উদ্দিন মেম্বারের বংশের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই নজরুল ইসলাম।এ ঘটনায় ১০ জন আহতের মধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। তারা হলেন, সায়েম মিয়া (১৯), লাল মিয়া (৫০), মুছা (৬৫) ও আলমগীর (২৮)।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৭ জুন শনিবার ঈদের দিন বেলা ১১ টায় কোরবানির গরুর মাংস কাটতে রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল মইন উদ্দিন মেম্বার বাড়ির মাসুম ও মোল্লা বাড়ির জিহাদ ও সায়েম। এ সময় মেম্বার বাড়ির মাসুম জিহাদের দিকে টেরা হয়ে থাকলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরদিন রবিবার রাতে একই বিষয় নিয়ে মোল্লা বাড়ির এমাদ মিয়া ও লাল মিয়ার সাথে মেম্বার বাড়ির মাসুম মিয়া মারামারি হয়। সকালে একই ঘটনার জের ধরে দা, লাঠি, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে মেম্বার বাড়ির তাজুল ইসলামের একটি বাড়ি ও দোকানঘর ভাঙচুর করে মোল্লা বাড়ির বংশের লোকজন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। আহতের মধ্যে ৪ জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এঁদের মধ্যে দুইজনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে। বাকিরা বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।এ বিষয়ে মোল্লা বাড়ির সিয়াম মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন যাবত মইন উদ্দিন মেম্বারের বাড়ির সাথে মোল্লা বাড়ির দ্বন্দ্ব চলছে। ঈদের দিন আমার ছোট ভাই সায়েম ও জিহাদের দিকে মেম্বার বাড়ির মাসুম টেরা হয়ে তাকিয়ে ছিল। এ বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। দুই দিন যাবত এ নিয়ে উত্তেজনা ছিল। সকালে মেম্বার বাড়ির লোকজন আমাদের বাড়ির লোকজনের উপর হামলা করে। আমার দুই চাচা গুরুতর আহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।এ বিষয়ে মইন উদ্দিন মেম্বার বাড়ির তাজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন যাবত জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দুই বংশের দ্বন্দ্ব চলছে। ঈদের দিনে টেরা হয়ে তাকানোকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। ছোট একটি বিষয় নিয়ে সংঘর্ষটি দুঃখজনক। অনেক চেষ্টা করেও মীমাংসা করতে পারিনি। এ ঘটনায় আমার বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেছে মোল্লা বাড়ির বংশের লোকজন। আমি নিজেও আহত হয়েছি। আমাদের বংশের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।এ বিষয়ে ভৈরব থানা পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই নজরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। চারজন আহত হয়েছে জেনেছি। তুচ্ছ বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর