ভৈরবে এক শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগে তার মাকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত শিশুর নাম নুসরান। বয়স দেড় বছর। মা আয়েশা বেগম (২৫) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।শনিবার (৭ জুন) রাতে পৌর শহরের লক্ষীপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। বাসাটি শাহিন কবিরের মালিকানাধীন।ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী জানান, শিশুটির গলা টিপে হত্যার কথা আয়েশা নিজেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। পরকীয়ার কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।জানা যায়, আয়েশার বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায়। স্বামী ওমর ফারুক (নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বাসিন্দা) ভৈরবে একটি পাদুকা কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। ওই কারখানায় কর্মরত ছিলেন আলমগীর নামে আরেক শ্রমিক। কাজের সূত্রে আলমগীরের সঙ্গে আয়েশার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে তা পরকীয়ায় রূপ নেয়।দেড় মাস আগে স্বামীকে না জানিয়ে আয়েশা বড় সন্তান আলিফকে রেখে ছোট সন্তান নুসরানকে নিয়ে আলমগীরের সঙ্গে পালিয়ে যান। তারা শহরের লক্ষীপুরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।ওমর ফারুকের পরিবার জানায়, আয়েশার বাবার বাড়ি যোগাযোগ করলে তারা জানায়, আয়েশা তাদের কাছেই আছে। তবে আসলে তিনি আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন। ঘটনা জানার পর স্বামী ফারুক লজ্জায় ও অপমানে বাড়ি ছেড়ে চলে যান বলে অভিযোগ পরিবারটির।শনিবার রাতে পুলিশ আয়েশার শ্বশুর আবুল কালামকে ফোনে বিষয়টি জানায়। পরে তিনি থানায় গিয়ে শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হন। তিনি জানান, ‘দেড় মাস ধরে পুত্রবধূর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খুঁজেও তার সন্ধান পাইনি।’পুলিশ জানায়, শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার আয়েশাকে কিশোরগঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য পাঠানো হবে। শিশুহত্যার ঘটনায় শ্বশুর আবুল কালাম বাদী হয়ে মামলা করবেন। এনআই

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবককে গণধোলাই
ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে যুবককে গণধোলাই

সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ৫ম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেস্টার অভিযোগে আজমির হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুদ্ধ জনতা। শনিবার Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন