উখিয়া উপজেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র ‘পাথর রানী খ্যাত’ ইনানী ও পাটোয়ারটেক সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভীড় জমেছে। পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে সকাল বেলা তুলনামূলক শান্ত থাকলেও বিকেল হতে- না হতেই এ সৈকতে বাড়তে থাকে দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকের আনাগোনা।রবিবার (৮ জুন) সরেজমিন ঘুরে এসব দৃশ্য দেখা যায়। সোনারপাড়া রেজু খালের ব্রীজ হতে ইনানী পাটোয়ারটেক পর্যন্ত’ মেরিন ড্রাইভ জুড়ে প্রতিটি পয়েন্টে ছুটির আনন্দে মেতে ওঠে হাজারো মানুষ। স্থানীয় দর্শনার্থীরাও মিলেছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের সঙ্গে।পর্যটকরা কেউ সাগরে নেমেছেন স্নানে, কেউবা ছবি তুলেছেন বালিয়াড়িতে, কেউ উপভোগ করেছেন সূর্যাস্তের রঙে রাঙানো অপার সৌন্দর্য। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সী পর্যটক মেরিন ড্রাইভ হয়ে সমুদ্র পাড়ে জড়ো হয়েছেন। মেতেছেন ঈদের ২য় দিনের আনন্দে।ঢাকা থেকে আসা শামীম হাওলদার নামে এক পর্যটক সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, “পরিবার নিয়ে ছুটি উপভোগ করতে কক্সবাজারে এসেছি।”কক্সবাজার শহরে অনেকটা যানযট পেলেও এদিকে অনেক স্বস্তি মিলেছে। মেরিন ড্রাইভের বাতাস আর সমুদ্রের গর্জন নিজেকে হারিয়ে পেলেছি। তার মধ্যে ইনানী বিচে পথরের এক অপূর্ব সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে আমাদের।নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা জেনিয়া ইবনাত নামে এক নারী পর্যটক সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেছেন, কক্সবাজার লাবনী পয়েন্ট,সুগন্ধা বীচে বেশ কয়েকবার এসেছি৷ মেরিন ড্রাইভ হয়ে সালসা ও মারমেন্ট পর্যন্ত গিয়েছিলাম খুব সুন্দর। সময়ের কারণে ইনানী এবং পাটোয়ারটেক যেতে পারিনি। এইবার ঈদে ইনানী,পাটোয়ার টেক এসে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা হলো। নিরিবিলি পরিবেশ আর স্বস্তি পেতে হলে এদিকে বেস্ট বলেই মনে হইলো।স্থানীয় রহিম ও সাহেদা নামের দুই লোকাল ভ্রমণপিপাসু’র সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরেছেন কিন্তু কক্সবাজারের মতো এরকম মনোরম পরিবেশ কোথাও দেখেনি। কিছু কিছু জায়গায় সুন্দর উপভোগ করা গেলেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ও নিরাপত্তায় ঘাটতি পাওয়া গেছে। এদিকে রিসোর্ট ও হোটেল মালিকরা আশা করছেন, আবহাওয়া ঠিক থাকলে ঈদের ছুটিতে প্রতি দিনই পর্যটকের ঢল নামতে পারে। রেষ্টুরেন্ট ও অন্যন্য হকার ব্যবসায়ীসহ সকলের ব্যবসা ভালো জমবে বলে মন্তব্য করেন তারা।ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়ন অফিসার ( অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ আপেল মাহমুদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সময়ের কন্ঠস্বরকে বলেন, পর্যটকদের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক নিয়োজিত। বীচ এবং বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল টিম রয়েছে। পর্যটকের নিরাপত্তায় সব ধরণের প্রস্তুতি আছে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর