বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ এখন আর নতুন কিছু নয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশের দেশ ভারতেরও অনেক ক্রিকেটার এবং ফুটবলার ব্যাট-বল তুলে রাখার পর রাজনীতিতে পা রেখেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল রাজনীতিতে যোগ দিতে যাচ্ছেন এমন গুঞ্জন উঠেছিল। বিশেষ করে সম্প্রতি এক রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠানে তাকে উপস্থিত দেখা যাওয়ার পর সেই আলোচনা আরও জোরালো হয়। তবে এ বিষয়ে স্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন তামিম। ‘নট আউট নোমান’-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, কখনও রাজনীতিতে পা রাখার ইচ্ছা নেই তার।তামিম বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, রাজনীতিতে আমি কখনোই আসছি না। রাজনীতি খারাপ কিছু নয়—বরং দেশকে উন্নতির দিকে নিতে চাইলে রাজনীতিই সবচেয়ে কার্যকর প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু আমার মনে হয় না আমি এই জগতে কাজ করার জন্য উপযুক্ত। তাই আমি এতে যুক্ত হতে চাই না।’বিএনপির এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার প্রসঙ্গে তামিম আরও ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করেই বলেছিলাম, আমি কোনো রাজনীতিক না। ওই অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল চট্টগ্রামের ক্রীড়াব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলার জন্য। বিশেষ করে ক্রিকেট বর্তমানে খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে সেখানে। সেই বাস্তবতা তুলে ধরার জন্যই আমি গিয়েছিলাম। রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।’চট্টগ্রামের খেলার মান নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে তামিম বলেন, ‘গত ১৫–২০ বছর ধরে চট্টগ্রামের ক্রীড়া খাত উন্নয়নহীন। বিশেষ করে ক্রিকেটে অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। তাই আমি মনে করেছি, সমস্যাগুলো তুলে ধরার জন্য সেটি ছিল যথার্থ একটি মঞ্চ।’উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের শুরুতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এখন তিনি মাঠের বাইরেই দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চান, তবে রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমেই।আরডি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর