ঈদযাত্রায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল। তবে নেই কোনো ভোগান্তি।বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) দুপুর ১টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের ঢল। তবে ভীড় বাড়লেও দৌলতদিয়া ঘাটে এবার ভোগান্তি নেই। ফেরি ও লঞ্চ যোগে নদী পাড় হয়ে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে যাত্রীরা বিভিন্ন যানবাহনে চড়ে তাদের গন্তব্যস্থানে যাচ্ছে।দৌলতদিয়া থেকে কুষ্টিয়াগামী একটি বাসের যাত্রী কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘পূর্বে এই নৌপথে এবং ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় পর্যন্ত ছিল চরম ভোগান্তি। কিন্তু এবার ভোগান্তি নেই বললেই চলে।’দৌলতদিয়া থেকে মধুখালীগামী মাহিন্দ্র যাত্রী স্বাধীন শেখ বলেন, ‘দৌলতদিয়া ঘাটে এবার নেই কোনো যানজট। লঞ্চে ঘাটে এসে নেমেছি। এরপর মাহিন্দ্রতে উঠেছি বাড়ি যাওয়ার জন্য, পথে কোনো ভোগান্তি হয়নি।’বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক সুপারভাইজার মো. শিমুল সময়ের কণ্ঠস্বরকে জানান, ‘এই নৌরুটে বর্তমানে ২০টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। গতকালের চেয়ে আজকে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা লঞ্চে যাত্রীদের চাপ অনেক বেশি। কিন্তু যাত্রীদের কোনো ভোগান্তি নেই।’বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘গত দিনের চেয়ে আজকে সকাল থেকে পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতে যাত্রীদের চাপ অনেক বেড়েছে। দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ছোট-বড় মিলে আজ ১৭টি ফেরি দিয়ে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।’উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদুর রহমান জানান, ‘দৌলতদিয়ায় অতিরিক্ত ভাড়া ও হয়রানি বন্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।’এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর