ঈদুল আজহার ছুটির শুরুতেই দক্ষিণাঞ্চলমুখী মানুষের ঢল নেমেছে পদ্মাসেতু এক্সপ্রেসওয়েতে। ঈদ মানেই প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি আর মিলনমেলা। সেই আনন্দের টানে ছুটছে মানুষ, আর দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, বরিশাল, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা, যশোর, ফরিদপুরসহ অন্তত ২১ জেলার যাত্রীদের ঘরে ফেরার প্রধান সড়ক হয়ে উঠেছে এই এক্সপ্রেসওয়ে।বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল থেকেই রাজধানীর বাসস্ট্যান্ডগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। রাজধানীর কর্মজীবী মানুষেরা ছুটি পেয়ে বাসে, প্রাইভেটকারে আর মোটরসাইকেলে রওনা হচ্ছেন প্রিয়জনদের কাছে। বুধবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে এই মিলনমেলার আমেজ। পদ্মা সেতুর বদৌলতে দূরত্ব যেমন কমেছে, তেমনি ভোগান্তিও অনেকাংশেই লাঘব হয়েছে বলে মনে করছেন যাত্রীরা।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পদ্মাসেতু এক্সপ্রেসওয়েতে দূরপাল্লার বাস, লোকাল বাস, প্রাইভেটকার আর মোটরসাইকেলের দীর্ঘ লাইন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই মানুষ বাড়ি ফিরছে। কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা মোটরসাইকেলের পেছনে ঈদের খুশি বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।ঢাকা থেকে আসা যাত্রী আরিফের চোখে-মুখে আনন্দের ঝিলিক। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে গাড়িতে উঠলেই আর কোনো সমস্যা নেই। সোজা ভাঙ্গা পৌঁছে যাই। পথে কোনো ভোগান্তি নেই। আজ থেকেই ঘরমুখো মানুষের চাপ শুরু হয়েছে।’মোটরসাইকেলে চেপে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর যাচ্ছেন নাসির। তাঁর চোখেমুখে ঈদের উচ্ছ্বাস। তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়েছি। মাঝপথে প্রচুর বৃষ্টি, ভিজতে ভিজতে যাচ্ছি। অনেকেই এভাবে ফিরছে। তবুও বাড়ি ফেরার আনন্দই আলাদা।’এদিকে শিবচর হাইওয়ে থানার পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাছাড়া ঈদ উপলক্ষে যাত্রাপথকে নিরাপদ রাখতে মহাসড়কে বাড়তি পুলিশ টহল, একাধিক মোবাইল টিম ও গতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘দুর্ঘটনা এড়াতে পরিবহনের গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজরদারি রয়েছে। রাতে অতিরিক্ত ডিউটিও দেওয়া হয়েছে।’সবমিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যেন ঈদযাত্রার আনন্দ নিয়েই ফিরছে প্রিয়জনের কাছে। একদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। তাই এই যাত্রাপথ নিরাপদ হোক, সবার ঘরেই পৌঁছে যাক ঈদের আনন্দ—এ প্রত্যাশা সবার।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর