পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সৈকতের স্টুডিও’র বন্ধের নির্দেশনা অমান্য করে স্টুডিও খোলা রাখার অভিযোগে আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫ টায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে কম্পিউটারসহ স্টুডিওর মালামাল জব্দ করে নিয়ে যায়। এ সময় কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। এতে সহযোগিতা করেন সেনাবাহিনী এবং মহিপুর থানা পুলিশ।মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যা ৭:৩০ টায় সৈকতের ফটোগ্রাফার ও স্টুডিও মালিকরা কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম এর পদত্যাগ চেয়ে কুয়াকাটা মহাসড়কে ঝাড়ু মিছিল দেয়। এ সময় তারা ‘ইউএনও’র দুই গালে জোতা মারো তালে তালে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা গেছে।জানা গেছে, পর্যটকদের নানা অভিযোগের ভিত্তিতে কুয়াকাটা সৈকতে ছবি প্রিন্ট ও ডেলিভারির জন্য স্থাপিত স্টুডিও গত ১ মে বন্ধের নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন।সৈকতের স্টুডিও মালিক দোজাহান শেখ, কাওসার হাওলাদার, সোহেল দাবি করেন, তাদের কোন পূর্ব নোটিশ কিংবা সময় না দিয়ে বন্ধ স্টুডিওর তালা ভেঙে মালামাল জব্দের নামে ভাঙচুর এবং কম্পিউটার, পিসি নিয়ে যায়। তারা আরো দাবি করেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে এক প্রকার লুটপাট চালিয়েছে ইউএনও।স্টুডিও মালিক ওসমান, ফিরোজ জানান, ২৫টি স্টুডিও রয়েছে। যেখানে ৩০টি কম্পিউটার, পিসি, প্রিন্টার, আইপিএসসহ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার মালামাল জব্দসহ লুট করে নিয়ে যায়। তারা ইউএনও’র এমন কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ‘বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্টুডিও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে মোতাবেক স্টুডিও বন্ধের সময় বেঁধে দেয়া হয়। নির্ধারিত সময়ে স্টুডিও বন্ধ না করায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে স্টুডিওর মালামাল জব্দ করা হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘সৈকতে ক্যামেরাম্যানদের ছবি তুলতে কোন বাঁধা নেই। এ স্টুডিও বন্ধের মধ্যদিয়ে কমিশন বানিজ্য বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক হয়রানি বন্ধ হবে’ বলে দাবি করেন তিনি।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর