চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কোরবানির ঈদে পশু বিক্রির হাট জমে ওঠার আগেই আলোচনায় চলে এসেছে এক ষাঁড়। নাম তার ‘কালো মানিক’। অথচ এখনো কোনো হাটে তোলা হয়নি তাকে। বিশাল দেহ, চকচকে কালো রঙ, শান্ত স্বভাব আর সুঠাম গড়নে এই ষাঁড় যেন হাটের রাজা হয়ে উঠেছে বাজারে না এসেই। দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।উপজেলার এওচিয়া ইউনিয়নের চূড়ামনি এলাকার খামারি আবু শাহ আলম নিজ খামারে সন্তানের মতো করে লালন-পালন করেছেন এই পাকিস্তানি শাহিওয়াল জাতের ষাঁড়টিকে। খামারটি ঘিরেই যেন এখন ছোটখাটো ঈদমেলা।খামারে গিয়েই দেখা গেল, কালো মানিককে ঘিরে স্থানীয়দের উৎসাহের কমতি নেই। কেউ ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন। অনেকেই খামার ঘুরে শুধু কালো মানিক দেখতে এসেছেন বলে জানান। খামারেই আছে আরও ২৫টি ষাঁড়। সবই দেশি জাতের। তবে কালো মানিক যেন আলাদা করে আলো কাড়ছে সবার।খামারি আবু শাহ আলম বলেন, প্রাকৃতিক খাবারে বড় করেছি। কোনো হরমোন বা ইনজেকশন নেই। দিনে তিনবার খাবার দেই। নিজের সন্তানের মতো যত্ন নেই। তিনি বলেন, কালো মানিকের বর্তমান ওজন প্রায় ১৭ মণ। দৈর্ঘ্য ৬ হাত, উচ্চতা ৪ হাত। প্রতিদিনই মানুষ আসে কালো মানিককে দেখতে। কেউ ছবি তোলে, কেউ ভিডিও করে।উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাতকানিয়ায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৫ হাজার ৩৭১টি, অথচ বিক্রির উপযোগী প্রস্তুত পশু আছে ৪৭ হাজার ১২৪টি। অর্থাৎ চাহিদার চেয়েও সরবরাহ বেশি। তবু বাজারে বেচাকেনা জমে ওঠেনি। উপজেলার বিভিন্ন স্থায়ী ও অস্থায়ী হাট ঘুরে দেখা গেছে, পশু আছে, বিক্রেতা আছে, ক্রেতাও আসছেন—তবে বেশিরভাগই যাচাই-বাছাই করে চলে যাচ্ছেন। দাম বেশি, আবার বৃষ্টির কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থাও দুর্বল। ফলে অনেকেই শেষ সময়ের অপেক্ষায়।সাতকানিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে পশুর হাট ও খামারে নজরদারির জন্য ৫টি দল গঠন করা হয়েছে। তারা পশুর স্বাস্থ্যের সার্টিফিকেট, ভ্যাকসিন নিশ্চিত করা ও হরমোন ইনজেকশন ব্যবহার রোধে কাজ করছেন।তিনি আরও বলেন, এ বছর খামারিরা অনেক সচেতন। বেশিরভাগ গরু প্রাকৃতিক উপায়ে লালন করা হয়েছে। তবে হাটে গতি আসবে মূলত ঈদের ২-৩ দিন আগে।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর