দীর্ঘ ১০ মাস পর অবশেষে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের সরকারি ওয়েবসাইটে থাকা ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাস্যোজ্জ্বল ছবি। সময়ের কণ্ঠস্বর-এ প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র দেড় ঘণ্টার মাথায় এই পদক্ষেপ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।সোমবার (০২ জুন) রাত ১০টায় ‘টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ওয়েবসাইটে এখনও শেখ হাসিনার ছবি!’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে সময়ের কণ্ঠস্বর। প্রতিবেদনে সরকারি ওয়েবসাইটে দীর্ঘ সময় ধরে পরিবর্তিত বাস্তবতার কোনো প্রতিফলন না রেখে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার ছবি থাকায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় রাজনৈতিক এবং ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। প্রতিবেদনটি প্রকাশের মাত্র দেড় ঘন্টার মাথায় রাত ১১টা ২৮ মিনিটে সরকারি হাসপাতালের ওয়েবসাইট (https://hospital.tangail.gov.bd) থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় দিল্লিতে নির্বাসিত শেখ হাসিনার জনসভার সেই ছবিটি।এ বিষয়ে জানতে চাইলে মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (উপ-পরিচালক) ডা. খন্দকার সাদিকুর রহমান সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত। আপনারা এভাবে প্রচার করে ফেললেন—আসলে আগে একটু আলাপ করলেও পারতেন।’ তিনি বলেন, ‘ওয়েবসাইটটা সচরাচর আমাদের নজরে আসে না বা ওটা কাজেও লাগে না। সে কারণেই ছবিটি থেকে গিয়েছিল। স্বীকার করছি, এটি আমাদের ভুল হয়েছে। আমি আসলে খুবই লজ্জিত। সংবাদ প্রকাশের পরপরই বিষয়টি সংশোধন করা হয়েছে।’ তবে সংশ্লিষ্টদের মতে, এটিকে কেবল ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’ বলে দায় এড়িয়ে যাওয়া যায় না। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সকল ওয়েবসাইট হালনাগাদের নির্দেশ থাকলেও সেটি মানা হয়নি কেন, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, দীর্ঘ সময় ধরে ওয়েবসাইটে ফ্যাসিস্ট হাসিনার ছবি বহাল থাকা ছিল সুস্পষ্ট প্রশাসনিক উদাসীনতা। তাঁরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য একাধিকবার কল করা হলেও টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. ফরাজী মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম মঞ্জু এবং জেলা প্রশাসক শরীফা হক ফোন রিসিভ করেননি।এসকে/আরআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর