দীর্ঘ ১২ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি সাজাপ্রাপ্ত আলী হাসানের (৪৫)। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার গভীর রাতে তাঁকে দিনাজপুরের বিরল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার (০২ জুন) তাঁকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া কারাগারে পাঠানো হয়।আলী হাসানের বাড়ি বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোলা সেনপাড়া গ্রামে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে একটি প্রতারণার একটি মামলায় আদালত তাঁকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করেন। রায় ঘোষণার পরই তিনি এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০১৫ সালে আরও দুটি এবং ২০১৭ সালে একটি প্রতারণা মামলায় আলী হাসান আবার দণ্ডিত হন। সব মিলিয়ে মোট চারটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সাজা রয়েছে।জানা গেছে, আত্মগোপনের পর তিনি দিনাজপুরের বিরল উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের বাড়িতে বসবাস করতেন এবং আলু ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। দীর্ঘ অনুসন্ধান ও নজরদারির পর স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম নঈমুদ্দিন বলেন, ‘ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকা আসামি আলী হাসানকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি চারটি সাজাপ্রাপ্ত মামলার পলাতক আসামি ছিলেন।এআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর