ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাকচর গ্রামের মাহমুদুল হাসান সুজন গড়ে তুলেছেন এক স্বপ্নের খামার। তার গড়ে তোলা খামারের নাম দিয়েছেন নীরা এন্ড রায় ক্যাটল ফার্ম। এক সময়ের শখের বসে শুরু করা গরু পালন এখন তাকে এনে দিয়েছে পরিচিতি, আত্মবিশ্বাস ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। তার খামারের আকর্ষণ একটি সেঁটে লালন-পালন করা বিশালদেহী লাল, সাদা ও কালো রঙের বিশাল দেহী ১১ টি বলদ গরু। পাশের সেঁটেই রয়েছে বিভিন্ন রং ও আকারের আরও ২১ টি ষাঁড় গরু। ষাঁড় গুলোর মধ্যে বিশাল দেহী কালচে গায়ের রঙের ৬০০ কেজি ওজনের ষাঁড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘রাজা’। তার রাজত্ব তথা সেঁটেই রয়েছে ২১ টি ষাঁড়। ঈদুল আজহা সামনে রেখে এর দাম হাঁকা হচ্ছে চার লাখ টাকা।সুজনের বাড়ি ত্রিশাল উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের কাকচর গ্রামে। তিনি আবুল কালাম আজাদ ছেলে। মাত্র চার লাখ ত্রিশ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। শুরুতে সাতটি বিভিন্ন জাতের গরু কিনেছিলেন। এগুলোর লাভে তিনি আরও কয়েকটি গরু কিনে খামারটি ধীরে ধীরে বড় করেন। বর্তমানে তার খামারে ৩২টি গরু রয়েছে, যার বাজারমূল্য আনুমানিক ১ কোটি টাকা।মাহমুদুল হাসান সুজন বলেন, “আমার খামারের গরুগুলোকে আমি প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করি। খামারে উৎপাদিত কাঁচা ঘাস, ভূট্টা, ভূষি, ছোলা ও অ্যাংকারের ছোলা খাওয়াই। কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করি না। ”প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে অনেকে আসছেন ‘রাজা’ ও ‘ বৃহদাকার বলদ’ গরুটি দেখতে। কেউ কৌতূহলী দর্শক হয়ে আসে, কেউবা সম্ভাব্য ক্রেতা।‘রাজা’ নামের কারণ জানতে চাইলে সুজন বলেন, “ষাঁড়টি খুব চঞ্চল ও রাগী।সবগুলো ষাঁড় তার চঞ্চলতা ও খীপ্রতা দেখে ভয়ে তটস্থ থাকে। তাই তার নাম রেখেছি ‘রাজা’। তার রাজত্বেই বাকি ষাঁড় গুলো আছে।”পশু চিকিৎসক রোকনুজ্জামান জানান, ‘এই খামারের গরু গুলোকে আমি নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছি। আমার জানামতে এই খামারের গরু গুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হচ্ছে। এখানে কৃত্রিম কোন খাবার বা ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি। খামারের সবগুলো পশুই সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছে।’এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর