কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিরতিহীন বৃষ্টির কারণে কুরবানি পশুর হাটগুলো যেন অচেনা হয়ে গেল। এক কথায় বলতে গেলে, বৃষ্টিতে যেন বন্দী কুরবানি পশুর হাটগুলো।ভারি ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কুরবানি পশুর হাটগুলোতে প্রান্তিক খামারিরা গরু, মহিষ ও ছাগল আনতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। কুরবানি হাটে কষ্ট করে পশু তোলার পরও বৃষ্টির কারণে তেমন ক্রেতা আসে না। বলতে গেলে, এখন কুরবানি হাটে গরু ও ছাগল ক্রয় করার চেয়ে দেখার জন্য মানুষ বেশি আসে।চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়ায় কুরবানি পশুর হাটে প্রান্তিক খামারি জিয়া উদ্দিনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি হাটে ৫টি গরু তুলছিলাম, বৃষ্টির কারণে ক্রেতা কম আসায় আমি ১টি গরুও বিক্রি করতে পারি নাই।’ তিনি আরো বলেন, ‘বৃষ্টি যদি কমে যেত তাহলে পশুর ক্রয় ক্রেতাগণ হাটে আসলে আমার গরুগুলো বিক্রি করতে পারতাম।’চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার পশুর হাটে গরু বিক্রেতা রিদুয়ানুল মুবিনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘কুরবানি আসতে আর বেশিদিন নাই কিন্তু হাটে তেমন পশু বিক্রি হচ্ছে না। আমি হাটে বিক্রি করার জন্য একটি গরু আনছিলাম কিন্তু বিক্রি করতে পারি নাই, হয়তো বৃষ্টির কারণে দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতাগণ আসছে না।’চকরিয়ার ডুলাহাজারা কুরবানির পশুর হাটে আবদুর রহিমের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার গৃহপালিত গরু আনছিলাম বিক্রি করার জন্য কিন্তু ক্রেতার অভাবে বিক্রি করতে পারছি না। আর যারা কিনতে চাই, তারা তেমন গরুর দাম দিতে চাই না। বৃষ্টি যদি কমে যেত, কক্সবাজারসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতাগণ আসতো, ফলে গরুগুলো বিক্রি করতে আর অসুবিধা হতো না।’ইলিশিয়া বাজারস্থ কুরবানি পশুর হাটে মাহাফুজুল করিম সওদাগরের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, ‘আমার একটা গরু আমি বিভিন্ন পশুর হাটে নিয়ে গিয়েছিলাম, এখনো বিক্রি করতে পারি নাই। আমার গরুটির মূল্য ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা, কিন্তু ক্রেতারা গরুটির দাম দিতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বা ২ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা। এ দামে গরুটি বিক্রি করলে আমার অনেক টাকা লোকসান হবে। এমতাবস্থায়, বৃষ্টি যদি কমে যায় তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম থেকে ক্রেতারা আসলে আমাদের গরুগুলো বিক্রি করতে তেমন সমস্যা হয় না।’কুরবানি পশুর হাটের ইজারাদাররা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে বাজারে গরু, ছাগল ও মহিষ তেমন বিক্রি হচ্ছে না। ক্রেতাগণও দূর-দূরান্ত থেকে আসছে না। ফলে পশুর হাট আমরা যারা ইজারা নিয়েছি, তাদের অনেক লোকসান হবে।’আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির প্রবণতা আরো কয়েকদিন থাকতে পারে। ফলে মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর