কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার পারকি সমুদ্র সৈকতে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। এ ভাঙনের ফলে সৈকতের সৌন্দর্য যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি পর্যটকদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সৈকতের পাশে অবস্থিত লুসাই পার্কসহ একাধিক স্থাপনা।সরেজমিনে পারকি সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় সৈকতের বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে লুসাই পার্ক এলাকা থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে ব্যাপক ভাঙন হয়েছে। বহু ঝাউগাছের গোড়া থেকে দেড় থেকে দুই ফুট পর্যন্ত বালি সরে গিয়ে শেকড় বেরিয়ে পড়েছে। এতে করে গাছগুলো পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও মাছের ঘের মালিকরা নিজেদের উদ্যোগে জিওব্যাগ ও মাটি ব্যবহার করে অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণের চেষ্টা করছেন। তবে তাদের দাবি, স্রোতের ধাক্কায় এসব বাঁধ বেশিদিন টিকে থাকছে না।পারকি সৈকতে দীর্ঘমেয়াদি ভাঙনরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। তারা স্থায়ী সমাধানের জন্য পাথরের ব্লক বসানোর দাবি জানিয়েছেন। লুসাই পার্কের স্বত্বাধিকারী মো. হাশিম চৌধুরী বলেন, ‘গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সৈকতের বাঁধে ব্যাপক ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। আমরা নিজেদের অর্থায়নে কাজ করছি, তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধান নয়। সরকারের দ্রুত হস্তক্ষেপ জরুরি।’ব্যবসায়ী ও পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা আশঙ্কা করছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে ভবিষ্যতে এই ভাঙন আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র চট্টগ্রাম সার্কেলের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত ইবনে সাহীদ জানিয়েছেন, পারকি সৈকত রক্ষায় নতুন একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘নতুন প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পারকি সৈকতের ভাঙন রোধসহ পর্যটন উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’চট্টগ্রামের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পারকি সৈকত এখন প্রকৃতিক দুর্যোগ ও অবহেলার কারণে হুমকির মুখে। পর্যটন ও পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর