ইউরোপিয়ান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের আসর চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ পেয়েছে ফ্রেঞ্চ ক্লাব পিএসজি। পিএসজির ইতিহাস গড়া এই রাতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড দেখেছে ফুটবল সমর্থকরা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক সেসব নতুন রেকর্ড- ১) নিজেদের ক্লাব ইতিহাসের ৫৫ বছরে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতেছে পিএসজি। গতকাল ফাইনালের আগে টুর্নামেন্টে সর্বমোট ১৬৭টি ম্যাচ খেলেছে প্যারিসের দলটি। তবে কাঙ্খিত ফলাফল পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে ১৬৮তম ম্যাচ পর্যন্ত। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার আগে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড এটি।২) চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের মাধ্যমে জয়ের মাধ্যমে চলতি মৌসুমে ট্রেবল জিতেছে পিএসজি। ইউরোপিয়ান শীর্ষ লিগে এটি তাদের প্রথম ট্রেবল জয়। তাছাড়া নবম ইউরোপিয়ান ক্লাব হিসেবে এই কীর্তি গড়েছে লুই এনরিকের শিষ্যরা। তাছাড়া ১৯৯৩ সালে মার্শেইয়ের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর দ্বিতীয় ফরাসি ক্লাব হিসেবে এই প্রতিযোগিতা জিতল পিএসজি।৩) লুই এনরিকে ইউরোপিয়ান ক্লাবের হয়ে দুবার ট্রেবল জয়ী হওয়া মাত্র দ্বিতীয় কোচ। এর আগে ২০১৪-১৫ মৌসুমে বার্সেলোনার কোচ হিসেবে তিনি এই কীর্তি গড়েছিলেন। আর এই অর্জনে তাঁর সঙ্গে আছেন শুধু পেপ গার্দিওলা (বার্সেলোনা ২০০৮-০৯ এবং ম্যানচেস্টার সিটি ২০২২-২৩)।৪) চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে গোল বন্যায় ভাসিয়েছে পিএসজি। এদিন দলটি জিতেছে ৫ গোলের বড় ব্যাবধানে। ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের ফাইনালের ইতিহাসে এর আগে কোনো দল ৫ গোলের ব্যবধানে জেতেনি। এর আগে এমন কিছু দেখা গেছে ১৯৬২ সালে। তখন চ্যাম্পিয়নস লিগের নাম ছিল ইউরোপিয়ান কাপ। সেই ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদকে ৫-৩ গোলে হারিয়েছিল বেনফিকা।৫) পিএসজির এ জয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন দেজিরে দুয়ের। এ ম্যাচে দুইটি গোল করেছেন তিনি। তাছাড়া আশরাফ হাকিমির করা গোলেও অবদান রেখেছেন এই ফরোয়ার্ড। সে হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে প্রথম তিন গোলে অবদান রাখা একমাত্র ফুটবলার এখন তিনি। এছাড়া চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে অ্যাসিস্ট করা সবচেয়ে কম বয়সী খেলোয়াড় দেজিরে দুয়ে। ১৯ বছর ৩৬২ দিন বয়সে তিনি এই কীর্তি গড়েন। গত বছরের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে খেলা জুড বেলিংহামের রেকর্ড ভেঙেছেন (২০ বছর ৩৩৮ দিন) দুয়ে।৬) চ্যাম্পিয়নস লিগের চলতি মৌসুমে ৯টি গোলে অবদান রেখেছেন আশরাফ হাকিমি। যা একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ মৌসুমে কোনো ডিফেন্ডারের সর্বোচ্চ গোলে অবদানের যৌথ রেকর্ড। এর আগে ইয়ান হার্ট ২০০০-০১ মৌসুমে ৯টি গোল-অবদান রেখেছিলেন।৭) ফাইনালে পিএসজির হয়ে গোল করেছেন দুই টিনএজার মাইয়ুলু ও দেজিরে দুয়ে (দু’জনই ১৯ বছর বয়সী)। ইউরোপিয়ান কাপ ফাইনালের ইতিহাসে একাধিক কিশোর গোলদাতার প্রথম ঘটনা এটি।
Source: সময়ের কন্ঠস্বর