পরিবারের একমাত্র উপার্জন ব্যক্তি ছিলেন ভ্যান চালক ছাইদুল ইসলাম। তার আয়েই চলত ৬ সদস্যের সংসার। চলতি মে মাসের ৬ তারিখে মাটি কাটার ভেকুর আঘাতে তার একটি পা অচল হয়ে যায়। থেমে যায় সংসারের আয়ের চাকা। শুরু হয় সংসারে অভাব-অনটন। গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন থেকে নেওয়া হয় তার পরিবারের জন্য পদক্ষেপ।বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেলে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভেকু মালিকের কাছ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় আহত সাইদুলের পরিবারে। আহতের পরিবারে টাকা দিতে পেরে ভেকু মালিক লুতফর রহমানও ফেললেন স্বস্তির নিশ্বাস।উল্লেখ্য, গত ৬ মে মঙ্গলবার সকালে অবৈধ পুকুর খননের কাজে ব্যবহৃত ভেকুর ধাক্কায় বাম পায়ে গুরুতর আঘাত পান। তখন পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলার উপক্রম হয়। সাইদুল গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের ধানুড়া মোল্লাপাড়া গ্রামের ফজল মন্ডলের ছেলে। গুরুতর আহত অবস্থায় সাইদুলকে প্রথমে নাটোর সদর এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়।সে সময় ছাইদুলের ভাই ফরিদুল ইসলাম বাদি হয়ে ভেকু চালক মো. আববাছ আলী, মাটি ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর, মো. আনিছ, মো. শাহিন মন্ডল এবং মো. শামীম হোসেন, মো. জাদুসহ ৬ জনকে অভিযুক্ত করে গুরুদাসপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এদের মধ্যে ভেকু চালক আব্বাসকে আটক করে পুলিশে দেয় স্থানীয় লোকজন। সেই সাথে জব্দ করা হয় ভেকুটি।ছাইদুলের ভাই ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ভাই ছাইদুলের বাম পা কেটে ফেলতে হবে বলে ডাক্তার জানিয়েছেন। এমন অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনায় আমাদের পরিবার অসহায়। তবে এই সামান্য আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাহমিদা আফরোজ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ভেকু মালিকের কাছ থেকে আহত পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আহত পরিবারে সরকারি সহায়তা অব্যাহত থাকবে।’ এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর