সাড়ে ১৬ লাখ টাকা নিয়ে ইটালি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গনেশপুর গ্রামের মৃত. শওকত আলী গাজীর ছেলে সুবাহান গাজী (৪০) কে লিবিয়িায় নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।ওই ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী গাজীর ছেলে লিবিয়া প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ওরফে ‘কেনা’, তার দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম খাতুন, প্রথম স্ত্রী রাবেয়া খাতুন, ছেলে ইমন গাজী ও মেয়ে ইভা খাতুনকে অভিযুক্ত করে কালিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুবাহান গাজীর স্ত্রী সালমা শিরিন।সালমা শিরিন বলেন, ২০২৩ সালে শফিকুল ইসলাম ওরফে কেনা আমার স্বামীকে ইতালি পাঠানোর প্রস্তাব দেন। আমরা সরল বিশ্বাসে তার কথায় আশ্বস্থ হয়ে তার সাথে চুক্তি করি এবং তিনি আমাদের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন অজুহাতে দেখিয়ে তিনি ্আরও ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেন। তবে দুঃখের বিষয় আমার স্বামী সুবাহান গাজীকে ইতালি না পাঠিয়ে লিবিয়ায় নিয়ে যান এবং সেখানে আটকে রেখেছেন। বর্তমানে আমার স্বামী লিবিয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি অভিযুক্ত’ শফিকুল ইসলামের সাথে এবং দেশে থাকা তার দুই স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেছি। তবে তারা বিষয়টির কোন সমাধান না করে আমার স্বামীকে হত্যা বা গুম করার হুমকি দিচ্ছেন এবং আরও অর্থ দাবি করছেন। বর্তমানে আমরা চরম আর্থিক ও মানসিক দুর্দশায় রয়েছি। ইটালী নিয়ে যাওয়ার কথা বলে আমার স্বামীকে লিবিয়ায় পাচার করে দেবে বুঝতে পারলে কখনও আমার স্বামীকে শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে বিদেশে পাঠানোর জন্য কথা বলতাম না। আমি এ ব্যাপারে বাংলাদেশ হাই কমিশন, সাতক্ষীরার পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ঠদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল, পারভেজসহ একাধিক ব্যক্তি বলেন, শফিকুল ইসলাম ওরফে ‘কেনা’ লিবিয়ায় থাকার কারণে তার পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে যোগাযোগ করে আমাদের এলাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভনে সাধারণ মানুষকে লিবিয়ায় নিয়ে জিম্মি করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। তার প্রতারণার শিকার হয়ে অনেকেই পথে বসে গেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচিত দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণার শিকার আর কেউ না হন।অভিযুক্ত শফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী মরিয়ম খাতুন বলেন, ‘ইতালিতে নিয়ে যাবার চুক্তি ছিল। তবে অনেকবার নিয়ে যাবার চেষ্টা করলেও লিবিয়া থেকে ইতালিতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। বর্তমানে সুবাহান গাজী লিবিয়ায় আছেন।’কালিগঞ্জ থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর