সীমান্তকেন্দ্রিক মাদক কারবার,পণ্যপাচার সহ নানা অপরাধে ‘ক্রাইমজোন’ হয়ে উঠা উখিয়ার পালংখালী ইউপির বালুখালী এলাকায় বছর তিনেক আগে কার্যক্রম শুরু করে উখিয়া থানার আওতাধীন বালুখালী পুলিশ ফাঁড়ি। অপরাধ দমনে প্রতিষ্ঠিত এই পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে উঠেছে ইয়াবা ছিনতাইয়ের গুরুতর অভিযোগ, এই ঘটনায় এলাকাবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা গিয়েছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র বলছে, শনিবার (২৩ মে) দুপুরে ফাঁড়ির প্রবেশমুখে টমটমসহ এক নারীকে নিয়ে আসে কিছু পুলিশ সদস্য। পরে কালো পলিথিনে মোড়ানো একটি প্যাকেট তারা নিজেদের কাছে রেখে দিয়ে ঐ নারীকে ছেড়ে দেয়। সেখানে পুলিশের কনস্টেবল দিপু, দেলোয়ার ও মোনতাকিম নামে তিনজন কে চেনা গেলেও বাকিদের কাউকে চেনা যায়নি। তবে সবাই ফাঁড়ির পুলিশ এটা সত্য।ঘটনাস্থল থেকে আইমন নামে এক যুবক বলেছেন, পুলিশ সদস্যরা যে ইয়াবা ছিনতাই করে নিজেরাই খেয়ে পেলেন এই প্রথম দেখলাম। সবাই বালুখালী ফাঁড়ির পুলিশ সিভিল ড্রেসে থাকায় নামগুলো বলতে পারছি না। তবে তাদের ফাড়িঁতেই দেখি আমরা। নতুন এসেছে বালুখালী ফাড়িতে।অনুসন্ধান এবং সংরক্ষিত থাকা একটি ভিডিওর তথ্য বলছে, ২ হাজার পিছ ইয়াবা নিয়ে এক নারী পাচারকারী বালুখালী হতে টমটম করে উখিয়ার দিকে রওয়ানা দেন। তৎসময়ে বালুখালী ফাঁড়ির কিছু পুলিশ সদস্য তাদের তামিয়ে তল্লাশী করেন। তল্লাশী শেষে তাদের থেকে পাওয়া বস্তায় একটি কালো পলিথিন মোড়ানো প্যাকেটে ইয়াবার ব্যান্ডেল নিয়ে অই নারীকে ছেড়ে দেয়। পার্শ্ববর্তী লোকজন বলছে, অই নারীর থেকেও একটি টাকার ব্যান্ডেল নিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্যরা। জানা গেছে, অই নারী হলো উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রেহানা আক্তার (৩২) প্রকাশ বান্টুর মেয়ে।এসব ঘটনার পিছনের মূলহোতা হিসাবে নামে উঠে এসেছে বালুখালী’ ফাঁড়ির এএসআই মোজাম্মেল হক ও তার কনস্টেবল দেলোয়ার। তারা দুইজনের যোগসাজশে এসব অপকর্ম ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ করেন প্রত্যাক্ষদর্শীরা।অভিযুক্ত বালুখালী’ ফাঁড়ির এএসআই মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরকম ঘটনা ঘটেছে তবে অই সময় আমি ছিলাম না। কে বা কারা ঘটালো এখন পর্যন্ত অজানা। ফাঁড়ির প্রত্যেক পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি।এসব ঘটনার সত্যত্য জানতে কনস্টেবল দেলোয়ারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি ঘুম ছিলাম কিছু জানি না। আপনি ঘুম থাকলে স্থানীয় লোকজন স্পটে দেখেছে কিভাবে…? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ভাই এসব না বলে ফাঁড়িতে আসেন কথা হবে। ফাঁড়িতে যাওয়ার দরকার কি এ ঘটনায় কোন সুরহা হয়ছে কি না জানালেই তো হয় এমন কথার উত্তরে বলে এসব ওসি মহোদয়কে বলেন ভাই আমরা জানি না।উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করে এসব ঘটনা জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি তো এরকম কোন ঘটনায় শুনি নাই। আপনি যেহেতু অবগত করেছেন অবশ্যয় আমরা মূল অপরাধীকে বের করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইয়াবার সাথে কোন পুলিশ সদস্য সম্পৃক্ততা থাকলে চাকরি পর্যন্ত হারাতে পারেন।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর