টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে বিএনপি অফিসে চেয়ারে বসে টেবিলে পা তুলে সিগারেট খাচ্ছেন হারুন র রশিদ নামে এক  আওয়ামী লীগ নেতা। সামনেও বসেছিলেন বেশ কয়েকজন।রোববার (২৫ মে) রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে( ফেসবুক) ওই ছবি ভাইরাল হয়।‘জিয়ার সৈনিক’ নামে একটও ফেসবুক আইডি থেকে হারুন অর রশিদের টেবিলে পা তোলা ও হাতে  সিগারেটের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে ‘বাহ্! আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সভাপতি কুখ্যাত ভূমি দস্যু একাব্বর চেয়ারম্যানের ছেলে ইয়াবা ব্যবসায়ী হারুন বলে কথা। বিএনপির অফিসে হাতে সিগারেট আর টেবিলে পা তুলে বসে থাকা সাধারণ জনগণকে মোটেও অবাক করেনি। কারণ এ এলাকায় স্বজনপ্রীতি রাজনৈতিক হালচাল। কিন্তু প্রশ্ন হলো আওয়ামী লীগের সময় এই স্বজনগুলো কোথায় ছিল?জানা গেছে, উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা বসেন ওই অফিসে। তবে এটি ২নং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস। আর অফিসটি উপজেলার গারোবাজারে অবস্থিত।উপজেলার সিংহচালা গ্রামের হারুন অর রশিদ ছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী। তার বাবা একাব্বর আলী ছিলেন অবিভক্ত  রসুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এবং বর্তমানে লক্ষিন্দর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক নেতা জানান, ‘জুলাই বিপ্লবের পর হারুন পালিয়ে ভারতে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, পালাতে না পেরে   ঢাকা থেকে ফেরত আসেন। এক পর্যায়ে স্থানীয়  বিএনপির নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে আসেন হারুন। বিএনপির নেতাদের সঙ্গে গড়ে তোলেন সখ্যতা। যার ফলশ্রুতিতে তিনি পৌঁছে যান বিএনপির অফিস পর্যন্ত। ওই অফিসেই দিন-রাত আড্ডা দেন তিনি।স্থানীয়রা জানান, প্রায় তিনমাস আগে বিএনপির এ অফিস উদ্বোধন করা হয়। ১৫ দিন না যেতেই হারুন ওই অফিসে যাতায়াত শুরু করেন। সঙ্গে নিয়ে যান আওয়ামী লীগের তার বাহামভুক্ত কয়েকজন নেতাকর্মীকে। তাদেরকে নিয়েই রাত-দিন অফিসে আড্ডা দেন।ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সদস্য ও লক্ষিন্দর ইউনিয়ন  বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আক্কাস আলী আকন্দ জানান , ‘আওয়ামী লীগ নেতার দোষ কম। আমাদের নেতৃত্বে যারা আছেন, তারা এ অফিস পরিচালনা করে থাকেন। অর্থ্যাৎ সিনিয়ররা আওয়ামী লীগদের সঙ্গে নিয়ে অফিসে বসেন। বিএনপির সিনিয়ররা আওয়ামী লীগ ছাড়া চলতে পারেন না। জুলাই বিপ্লবের পর দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছিলেন হারুন। কিন্তু আমাদের কিছু লোক অভয় দিয়ে তাদেরকে  এলাকায় রাখার ব্যবস্থা করেছে। মনে হয় অফিসটা আমাদের না, আওয়ামী লীগের অফিস।মোবাইল ফোনে হারুন আর রশিদ জানান,  ‘এটা আসলে বিএনপির অফিস না। এটা খোলা ঘর। কারণে-অকারণে ওই ঘরে যাওয়া হয়। ওই ঘরটি উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইকবাল তালুকদারের ভাই খোরশেদ তালুকদারের। সম্পর্কে ইকবাল তালুকদার আমার মামা। ছবিটি যে রাতে তোলা হয়েছে সেই রাতে ওই ঘরে আড্ডায় আমার সঙ্গে ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ও শ্রমিক দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।’লক্ষিন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জসিম চৌধুরী জানান , বিষয়টি আমার জানা নেই। গারোবাজারের ওই অফিসটা ইউনিয়ন বিএনপির না, ওইটা ২নং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস। ওইখানে বসেন উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ইকবাল তালুকদার।’ইকবাল তালুকদার জানান, লক্ষিন্দর ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা এ অফিসে বসেন। হারুন আমার বোনের দেবরের ছেলে। সম্পর্কে ভাগ্নে। কখন সে এই অফিসে এসে এ কাজ করেছে আমি জানি না।’এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুর রহমান শাহিন জানান , আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকে যদি কেউ আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়, এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।এফএস

Source: সময়ের কন্ঠস্বর

সম্পর্কিত সংবাদ
কালীগঞ্জে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বিলে বাঁধ, জমি ভরাট
কালীগঞ্জে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে বিলে বাঁধ, জমি ভরাট

হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে গাজীপুরের কালীগঞ্জের পিপুলিয়া বিলে বাঁধ তৈরি করে সেখানকার কৃষি জমিতে বালু ভরাট করছে ‘বাংলা মার্ক’ নামের Read more

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রকে আরও সহজ করবে: ফখরুল
খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা গণতন্ত্রকে আরও সহজ করবে: ফখরুল

খালেদা জিয়ার এই দেশে ফেরা গণতন্ত্রকে আরও সহজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার (৬ মে) Read more

আমরা নিরপেক্ষ নই ,    জনতার পক্ষে - অন্যায়ের বিপক্ষে ।    গণমাধ্যমের এ সংগ্রামে -    প্রকাশ্যে বলি ও লিখি ।   

NewsClub.in আমাদের ভারতীয় সহযোগী মাধ্যমটি দেখুন