লক্ষ্মীপুরে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার মাস্টারের পরিবারের জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। এতে বাধা দিলে মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেয় তারা। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (২৬ মে) প্রতিবেদককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য ও অভিযোগের বাদী মো. সবুজ।মো. সবুজ হোসেন সদর উপজেলার উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের হাসন্দী গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল হায়দার মাস্টার বাড়ির মৃত রফিকুল হায়দারের ছেলে। অভিযুক্তরা হলেন, একই এলাকার হারুন মেম্বারের বাড়ির মৃত আবদুল বারেকের ছেলে তছলিম উদ্দিন, তছলিমের ছেলে আরিফ হোসেন হানিফ, আবদুল্লাহ আল মামুন, ঝর্ণা বেগম ও তছলিমের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। মৃত রফিক উল্লাহর ছেলে নুর নবী লিটন ও তার ছেলে মো. ফয়েজ, মো. ফয়সাল, মো. পারভেজ, মো. ফরহাদসহ অজ্ঞাত ৫ থেকে ৬ জন।এজহার সূত্রে জানা গেছে, জমি দখলের চেষ্টায় পুকুরে ঘাটওয়াল নির্মাণ করছে অভিযুক্তরা। এ সময় বাধা দিলে সবুজকে মারধরের চেষ্টা করে। এছাড়া প্রাণনাশের বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়। এর আগে অভিযুক্তরা সবুজদের মারধর ও হত্যার হুমকি দেয়।সবুজের স্বজন নাছিমা আক্তার বলেন, ‘চলাচলের জন্য তছলিমরা আমাদের জমি ব্যবহার করছে। কখনো আমরা নিষেধ করিনি। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে তারা রাস্তার পাশে থাকা আমাদের বিভিন্ন গাছ কেটে ফেলছে। এখন পুকুরে ঘাটওয়াল নির্মাণ করছে। জমি দখলের উদ্দেশ্যে এমনটি করছে তারা। বাধা দেওয়ায় বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ওরা।’অভিযুক্ত তছলিম উদ্দিন বলেন, ‘কাটাতারের বেড়া ও গাছ লাগিয়ে সড়কটি সরু করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া পুকুরে ভেঙে যাচ্ছে সড়ক। এজন্য রাস্তা রক্ষার্থে ঘাটওয়াল দেওয়ার চেষ্টা করেছি। তাছাড়া বিষয়টি সবুজদের জানানো হয়েছিল। আমরা বাড়িতে চলাচলের জন্য জমি ক্রয়ও করতে চেয়েছি। কিন্তু ওরা দিচ্ছে না। উল্টো মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে থানায়।’এ বিষয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোন্নাফের বক্তব্য জানা যায়নি।পিএম
Source: সময়ের কন্ঠস্বর