বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির সাথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ আর এই তথ্য প্রযুক্তি অপব্যবহার করে সিরাজগঞ্জে চৌহালীতে দিনে রাতে কিছু অবৈধ চক্রের ইনভার্টারের সাহায্যে ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরা ও প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংসের প্রবণতা বেড়েই চলছিল। এভাবে মাছ শিকার অব্যাহত থাকলে মাছের সাথে অন্যান্য জলজ প্রাণীও বিলুপ্ত হওয়ার শঙ্কা ছিল।চৌহালীর যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রকাশ্যে দিনে রাতে চলছে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে মাছ শিকার। এ পদ্ধতিতে কয়েকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির সাহায্যে পানিতে সাময়িক বৈদ্যুতিক শক দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে পানিতে বৈদ্যুতিক শকের কারণে একটি নির্দিষ্ট এলাকার সকল প্রকার জলজ প্রাণী বৈদ্যুতিক শকপ্রাপ্ত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীতে নিষিদ্ধ ইলেকট্রিক শক এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায় টাস্কফোর্স কমিটি। রবিবার (২৫ মে) দিবাগত রাতে গঠিত একটি টাস্কফোর্স দল যমুনা নদীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী অভিযান পরিচালনা করেন।অভিযানকালে বিপুল পরিমাণে অবৈধ ৭০ সেট চায়না দুয়ারী জাল ,কারেন্ট জাল ১টি,ইলেকট্রিক শক ব্যাটারীসহ মেশিন ২টি জব্দ করা হয়। যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ৩ লাখ ২৭ হাজার টাকা। এদিকে ১লাখ ৫০ হাজার টাকার ইলেকট্রিক শক জব্দ করা হয়েছে আর এসব অবৈধ জালগুলো জনসম্মুখে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।অভিযানের বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানভীর হাসান মজুমদার বলেন, অবৈধ ইলেকট্রিক শক দিয়ে মাছ ধরায় দেশের মৎস্য সম্পদের জন্য মারাত্মক হুমকি। এটি জলজ প্রাণীর প্রজনন ব্যাহত করে এবং ইকোসিস্টেমকে বিপর্যস্ত করে তোলে। তাই নিষিদ্ধ এই ইলেকট্রিক শকএর বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।তিনি আরও জানান, নদীর জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং মৎস্যসম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তর ভবিষ্যতেও যৌথভাবে এমন অভিযান চালিয়ে যাবে।অভিযানকালে ছিলেন মৎস্য দপ্তরের জ্যেষ্ঠ ক্ষেত্র সহকারী শফিকুল ইসলাম শফিক, নৌ পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই আরিফ হোসেন ও সাইফুল ইসলাম।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর