নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় ভেড়ম সোনাদিঘীর চারদিকে গাইড ওয়াল নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নির্মাণ কাজ শেষ হতে না হতেই নির্মাণাধীন গাইড ওয়াল ধসে পরতে শুরু করেছে। অনিয়মের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীদের মাঝে ব্যাপক আকারে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের ভেড়ম সোনাদিঘীর চারপাশে জিওবি‘র অর্থায়নে দিঘীর চারদিকে সিমেন্টের খুটি, বাঁশ এবং ড্রাম কোড দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে গাইড ওয়াল। এছাড়াও সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে রাজশাহী বরেন্দ্র অঞ্চলের পরিবেশ সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৭শত টাকা ব্যয়ে ওই দিঘীর গাইড ওয়ালসহ দিঘীর চারদিকে পাড় নির্মাণ এবং পাড়ের ওপর দিয়ে ইটের এইচবিবি রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। মাত্র দুই মাসে আগে কাজ শুরু হলেও কয়েকদিনের হালকা এবং ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে দিঘীর পশ্চিম পাড়ের বেশ কিছু স্থানে গাইড ওয়াল ধসে পড়েছে। গাইড ওয়াল ধসে পড়ার কারণে রাস্তায় ভাঙ্গণ শুরু হয়েছে। প্রকল্পের কাজটি করছেন মেসার্স সৈকত এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা বারবার কাজের গুণগত মান ভালো করার জন্য প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার কারো কথায় কর্ণপাত করেনা। দ্রুত গাইড ওয়ালসহ নির্মাণ কাজে নজর না দেয়া হলে চলতি বর্ষাকালে সকল গাইড ওয়াল ও রাস্তা পুকুরে ধসে পড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দিঘীর পাড় এলাকার বাসিন্দা আব্বাস আলী ও সুলতান মন্ডল জানান, শুরু থেকে কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। আমরা প্রতিবাদ করলে উল্টো ঠিকাদারের লোকজন আমাদের ভয়-ভিতি দেখান। দিঘীর উপরের পাড়ের রাস্তা দিয়ে কয়েকশত বাড়ির মানুষদের যাতায়াত সেজন্য সঠিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তারা। পাড়ের আদিবাসি পাড়ার নেতা সাবেশ মরমু জানান, আমাদের দিঘীর পাড়ে প্রায় ২৫টি বাড়ি রয়েছে আমাদের প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতে হয় পাড়ের উপরের রাস্তা দিয়ে। সেজন্য সঠিক ভাবে গাইড ওয়াল গুলো বসিয়ে কাজ করলে হয়তো পাড় ভাঙন হতো না। এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙে কথা বললে তারা জানান, বৃষ্টির কারণে গাইড ওয়াল গুলো পাড়ের রাস্তার উপরে মাটির চাপে হেলে পরছে। আমরা দ্রুত এসব মেরামত করার চেষ্ঠা করছি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর