প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে জরুরি তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট ফোনকলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। অন্যদিকে, ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি ফোনকলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল এবং মিসড কল, যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।বৃহস্পতিবার (২২ মে) ‘৯৯৯’ এর অতিরিক্ত ডিআইজি (টেলিকম) মহিউল ইসলাম এসব তথ্য জানান।তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ‘৯৯৯’ বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত একমাত্র জরুরি হেল্পলাইন, যা দেশের নাগরিকদের জরুরি মুহূর্তে নিরবচ্ছিন্নভাবে ২৪/৭ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ‘৯৯৯’ মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলারকে। যা মোট কলের ৪৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ।বাকি ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১টি কলের সঙ্গে সেবা প্রত্যাশার কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল এবং মিসড কল, যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।অতিরিক্ত ডিআইজি মহিউল ইসলাম আরও বলেন, এই বিপুল সংখ্যক অপ্রয়োজনীয় ফোনকল কল-ওয়েইটিং টাইম বাড়িয়ে দেয়, সত্যিকার বিপদগ্রস্ত জরুরি সেবা প্রার্থী কলারকে ৯৯৯-এর সেবাপ্রাপ্তিতে বিলম্ব ঘটায় এবং ৯৯৯-এর কলগ্রহীতাদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই অপ্রয়োজনীয় কলগুলো ৯৯৯-এর দ্রুত সেবাপ্রাপ্তি ব্যাহত করছে।টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে এ আইনে অভিযোগ আনেনি। বরং ৯৯৯ জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে।৯৯৯-এর এ কর্মকর্তা আরও বলেন, উৎসাহব্যঞ্জক ব্যাপার হচ্ছে ৯৯৯-এর ওপর জনগণের আস্থা ও ভরসার কারণে এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে দিন দিন অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা কমছে। এরই ধারাবাহিকতায় অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে নাগরিকদের এবং গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে। ৯৯৯ ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর