পটুয়াখালীর বাউফলে ছোট ভাইয়ের ওপর হামলার প্রতিবাদ করায় বড় ভাই তাওসিফ ইসলাম অর্ককে (১৭) পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আহত তাওসিফ ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বুধবার রাত সোয়া আটটার দিকে উপজেলা সদরের স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সড়কে এ ঘটনা ঘটে।তাওসিফ ইসলাম পটুয়াখালী পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি উপজেলার কৃষকদলের সাবেক আহ্বায়ক মো. ফয়সাল খানের ছেলে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পূর্ব বিরোধের জেরে মোশারেফ হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে গত মঙ্গলবার তাওসিফ ইসলামের বাবা ফয়সাল খান পুলিশে সোপর্দ করেন। এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্বৃত্তরা ফয়সাল খানের সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া ছেলে তাসিন ইসলাম সূর্য্যকে (১৩) হাতুড়িপেটা করে আহত করে। এর প্রতিবাদে গতকাল বুধবার বিকেলে তাওসিফ ইসলামের নেতৃত্বে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে তাসিনের সহপাঠী ও এলাকাবাসি। পরে বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তাওসিফ ইসলাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে গেলে দুর্বৃত্তরা তাওসিফ ইসলামকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।তাওসিফ ইসলামের অভিযোগ করেছেন, মাহতুল মুসা ও মোসারেফ আমাকে দা দিয়ে কুপিয়েছে। এর আগে তার ছোট ভোইকেও হাতুড়িপেটা করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ওই সন্ত্রাসীরা।অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে পরিবার স্বজনরা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের কোন স্বজন এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। পূর্ব বিরোধের জেরে নাম জড়ানো হচ্ছে।’উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. শাহরুখ আহম্মেদ বলেন, তার (তাওসিফ ইসলাম) ডান পায়ের গোড়ালির ওপরে রগে গুরুতর জখম রয়েছে। অবস্থা এতটাই গুরুতর ছিল বোঝা যাচ্ছিল না, রগ কেটেছে কিনা। এ কারণে দ্রæত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার বলেন,‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়েছে। এজাহার দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর