পাবনার ঈশ্বরদীতে বিমান বাহিনীর চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। বুধবার (২১ মে) রাত ৯ টার দিকে পৌর শহরের ফতেমোহাম্মদপুর নিউ কলোনি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার ফতেমাহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত দিলসের ছেলে নাদিম, একই এলাকার বাপ্পি আলমের ছেলে শিহাব হোসেন এবং আজগর হোসেনের ছেলে আল আমিন। এ সময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল সদৃশ তিনটি ওয়াকি টকি, বিমান বাহিনীর ভুয়া পরিচয়পত্র জব্দ করা হয়েছে।ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা গেছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পৌর শহরের ফতেমাহাম্মদপুর ড্রাইভারপাড়া এলাকার মৃত মহিউদ্দিন খানের বসত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি শহীদুল ইসলাম শহিদ। প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা গেছে, প্রতারক চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া বিমান বাহিনীর অফিসার সেজে বিমান বাহিনীর বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বেকার মানুষদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল। তেমনিভাবে গত ১৫ মে পৌর শহরের ফতেমহাম্মদপুর এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী জাভেদ খানের বেকার দুই ছেলেকে চাকরি দিবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে কয়েক দফায় ৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। সর্বশেষ তাদের ট্রেনিং করার কথা বলে প্রতারক চক্রটি রাজশাহী চিড়িয়াখানায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদের দৌড়, সাঁতার কাটা, লাফ-ঝাফ করায় পরে একশত পঞ্চাশ টাকার নন জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষরকৃত একটি চাকুরীর চুক্তিনামা প্রদান করে। এতে ভুক্তভোগী জাবেদ খানের সন্দেহ হলে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে আটক করেন।ঈশ্বরদী থানার ওসি শহিদুল ইসলাম শহীদ জানান, ভুক্তভোগী জাভেদ খানের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত তিনজনই সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষকে চাকরির প্রলোভনে এ ধরনের প্রতারণা করে আসছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে। এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর