লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ২০টি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মধ্যে চারটিতে নামমাত্র অভিযান দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ। এতে গতিহীন হয়ে পড়েছে চিকিৎসা সেবা মনিটরিং কার্যক্রম। এর আগে নানা অনিয়মের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচী নাথ চট্টগ্রামের পটিয়া থেকে বদলী হয়ে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আসেন। এখানে এসে তিনি ঠিকমতো দায়িত্ব পালন না করা ও প্রতি সাপ্তাহে বৃহস্পতিবার ছাড়া তাকে আর হাসপাতালে পাওয়া যায়না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।সাপ্তাহের অন্যান্য দিনগুলোতেও জেলা এবং উপজেলায় বিভিন্ন মিটিংয়ের অজুহাতে থাকেননা হাসপাতালে।অন্যদিকে নিয়ন্ত্রণহীন এসব ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। স্বাস্থ্য সেবার নামে চলছে তাদের বেপরোয়া বানিজ্য। খোদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনেই ৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নাকের ডগায় চলছে এসব রোগ নিরাময় কেন্দ্র।জানা যায়, চলতি মাসে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধে হাঁকডাক দিয়ে অভিযান শুরু করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মাত্র একদিনে চারটিতে অভিযান দিয়ে কোনো ঘোষণা ছাড়াই থেমে যায় অভিযান। এই অভিযান নিয়েও দেখা দিয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। উদ্দেশ্যপ্রনোদিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। কোন কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টার সম্পুর্ন অবৈধ, সেখানে ১০ হাজার টাকা। আবার কোন প্রতিষ্ঠানের মোটামুটি কাগজপত্র ঠিক থাকলেও দুএকটি কাগজের জন ৫০ হাজার টাকা, রি-এজেন্ট মেয়াদোত্তীর্নসহ অন্যান্য অপরাধে মাত্র ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।সম্পুর্ন দায়সারাভাবে চলছে গুরুত্বপূর্ণ এ সেক্টরটি। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার দায়িত্ব অবহেলা,অব্যবস্থাপনা ও স্বজনপ্রীতির কারনে নিয়ন্ত্রণ নেই ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোতে অভিযান চলমানে কথা বললেও বাস্তবে এর কোনো সঠিক উত্তর নেই কর্মকর্তার কাছে।তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.সব্যসাচীনাথ বলেন, অভিযান চলবে। আমরা সময় সাপেক্ষে আবার শুরু করবো অভিযান। তার এমন বক্তব্যকে দায়সারা আখ্যা দিয়ে উপজেলার সচেতন মহল মনে করছেন, এগুলো একজন দায়িত্বশীল মানুষের বক্তব্য হতে পারেনা। আপনি হাঁকডাক দিয়ে অভিযানে নেমে উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভাবে চারটিতে বিতর্কিত জরিমানা করে এখন চুপচাপ রয়েছেন। এগুলো কিসের ইঙ্গিত বহন করে?লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ডা.আবু হাসান শাহীন বলেন, বিষয়টির আমি খবর নিচ্ছি।এসআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর