যশোরে গরুর পায়ের ছাপ অনুসরণ করে এক বিধবা চোরের গোয়ালঘরে খুঁজে পেয়েছেন চুরি হওয়া একটি গরু। মঙ্গলবার (২০মে) দিবাগত রাতে চোর ওই বিধবার গোয়ালঘর থেকে গরুটি চুরি করে আনে। আর সকালে গরুটি উদ্ধারের পর জনগণ চোর আশরাফুল ইসলামকে ধরে বাঁশ গাছের সাথে বেধে রাখে। আশরাফুল সদর উপজেলার চুড়ানকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামের মহিউদ্দিনের ছেলে। চুড়ামনকাটির ইসলামপুর গ্রামের মৃত আবু তাহেরের স্ত্রীর মমতাজ বেগম জানান, সোমবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে গোয়ালঘরে গরুর খাবার দিয়ে তিনি ঘুমাতে যান। রাত ৩ টার দিকে আরেকটি গরুর লাফালাফির শব্দ শুনে তিনি গিয়ে দেখতে পান গোয়ালঘরে তার একটি গরু নেই। পরে তার হাউমাউ শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসেন। তারা ভোরে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় গরুর পায়ের ছাপ অনুসরণ করতে থাকেন বিধবা মমতাজ ও কয়েকজন প্রতিবেশী। এক প্রকার তারা আনুমানিক ৫ কিলোমিটার পথ অনুসরণ করে বাগডাঙ্গা গ্রামের আশরাফুলের বাড়ির গোয়ালঘরে চুরি হওয়া গরুটি খুঁজে পান। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় গরুটি উদ্ধার করেন তারা। এসময় চোর আশরাফুলকে ধরে বাঁশ গাছের সাথে বেধে রাখা হয়। তাকে উত্যম-মাধ্যমে দেয়ার পর স্বীকার করেন একই গ্রামের (বাগডাঙ্গা) রিপন ও ইমন মিলে গরুরি চুরি করেছে। ওই দুই জনকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে নিজে গরুটি রেখে দিয়েছেন। মমতাজ বেগম জানান, তার মত একজন অসহায় মানুষের গরু চুরি করা ঠিক হয়নি। বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় কাঁদা থাকায় গরু ও চোরের দাগ স্পষ্ট ছিলো। বাড়ি থেকে পায়ে দাগ অনুসরণ করে তার চুরি হয়ে যাওয়া গরুটি পেয়েছেন। চুড়ামনকাটির সাজিয়ালী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুর রউফ জানান, গরু চুরির অভিযোগে আশরাফুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উদ্ধার হওয়া গরুটি মালিককে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।এনআই
Source: সময়ের কন্ঠস্বর