ভিয়েতনামের সাবেক মিস গ্র্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজয়ী ও সেলিব্রিটি বিউটি কুইন নুগুয়েন থুক থাই থিয়েনকে জাল ফাইবার সাপ্লিমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ এ তথ্য জানায়।প্রতিবেদনে বলা হয়, থিয়েন ও তার সহযোগীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দাবি করেছিলেন যে তাদের প্রচার করা সাপ্লিমেন্ট ‘গামিজে’ এক প্লেট শাকসবজির সমান ফাইবার রয়েছে (প্রতি গামিজে ২০০ মিলিগ্রাম)।সেলিব্রিটি বিউটি কুইনের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একজন ভোক্তা ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখেন যে প্রতি গামিজে মাত্র ১৬ মিলিগ্রাম ফাইবার রয়েছে, যা দাবিকৃত পরিমাণের চেয়ে প্রায় ১২ গুণ কম।এছাড়াও প্রচারকৃত প্যাকেটে ফাইবারের পরিমাণ উল্লেখ ছিল না, যা সরাসরি ভোক্তাদের সাথে প্রতারণার সামিল। গামিজে ল্যাক্সেটিভ (মল নরম করার ওষুধ) হিসেবে ব্যবহৃত সোরবিটলের উচ্চ মাত্রা ছিল, যা স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।এর আগে, চলতি বছরের মার্চে নুগুয়েন থুক থাই থিয়েন ও তার দুই পার্টনারকে জরিমানা করা হয় এবং তারা জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চান। ওই সময় তাদের কোম্পানির কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর আবার তাদের গ্রেফতার করে ভোক্তা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।এই স্ক্যান্ডালের আগে এক লাখেরও বেশি বক্স গামি বিক্রি হয়েছিল। নুগুয়েন থুক থাই থিয়েনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও নিম্নমানের পণ্য উৎপাদনের মামলা চলছে।এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পণ্যের অস্পষ্ট বিজ্ঞাপন নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভোক্তাদের উচিত যাচাই-বাছাই না করে কোনো পণ্যে বিশ্বাস না করা।এবি
Source: সময়ের কন্ঠস্বর