বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদ ও বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আমরা আশা করছি, ভবিষ্যতে গণতান্ত্রিক সরকার আসবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে স্থানীয়পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ছাড়া সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।বাংলাদেশে দারিদ্র্যের বড় কারণ হলো প্রভাবশালীদের মাধ্যমে জমি ব্যাহত হওয়া। আর ত্রুটিপূর্ণ আইনি ব্যবস্থায় তা পুনরুদ্ধার করতে গেলে ওই ব্যক্তিকে সর্বস্বান্ত হতে হয়। কাজেই দারিদ্র্য শুধু আয়-রোজগার দিয়ে হয় না।তিনি আরও বলেন, পুলিশের কাছ থেকে ভালো সেবা না পাওয়া গেলে সেক্ষেত্রে পুলিশও দারিদ্র্যের কারণ হতে পারে। আইনশৃঙ্খলা ঠিকমতো না চললে কেউ নিরাপদ নয়। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় গরিব মানুষ।মঙ্গলবার (২০ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বরিশাল পরিসংখ্যান ব্যুরোর উদ্যোগে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দারিদ্র্যের মানচিত্র নিয়ে সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সবকিছু ঢেলে সাজানো হচ্ছে। এরপরও কিছু ব্যত্যয় ঘটছে, অনেককিছু আবার খারাপ জায়গায় যাচ্ছে। তারপরও আশা করবো বাংলাদেশ আর আগের জায়গায় যাবে না। বাংলাদেশ নতুন জায়গায় যাবে।মানুষ অন্যায়-অত্যাচার বেশি দিন সহ্য করে না সে বিষয়টি যারাই ক্ষমতায় আসুক উপলব্ধি করতে পারবে। অন্তর্বর্তী সরকারের মূল লক্ষ্য হলো ওইটুকু সংস্কার করা যার মাধ্যমে সুশাসিত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ করা যাবে। যা যত দ্রুত সম্ভব। ওই সময়ের মধ্যে অন্য খাতেও সংস্কারের চেষ্টা চলছে।পুলিশ বিভাগের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, ‘পুলিশকে বেশি খারাপভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ কারণে পুলিশ বিভাগকে নতুনভাবে তৈরি করতে চাই।’ এজন্য পুলিশ বিভাগকে সহায়তা করার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘পুলিশ যেমন সকলকে রক্ষা করে, তেমনি পুলিশকেও রক্ষা করতে হবে। এখানে জনগণের বড় দায়িত্ব হচ্ছে পুলিশ বাহিনী ও প্রশাসনকে সহায়তা করা।বৃহত্তর বরিশাল বিভাগ ও বরিশাল অঞ্চলের বিভিন্ন প্রশাসনিক দায়িত্বরত ও উন্নয়ন প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর