ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় স্থল অভিযান তীব্র করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। রবিবার (১৮ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে উপত্যকাটিতে ১৫১ জন জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে সোমবার (১৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। চিকিৎসা সূত্র জানিয়েছে, রবিবার গাজাজুড়ে ১৫১ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। নিহতদের মধ্যে প্রায় ৭০ জন উপত্যকাটির উত্তরাঞ্চলের এবং গাজা সিটির। দখলদার সেনাদের চালানো এ হামলায় অঞ্চলটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তারা হামাসের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন গিডিয়ন চ্যারট’-এর অংশ হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ গাজা উপত্যকায় একযোগে ব্যাপক স্থল অভিযানে নেমেছে। এতে অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ কমান্ডের সক্রিয় ও রিজার্ভ সেনারা।উত্তর গাজার ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মুনির আল-বুরশ আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘পূর্ব সতর্কতা ছাড়াই’ ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালের ভেতরে একজন রোগীকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি বলেন, সামরিক বাহিনী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটেও গুলি চালিয়েছে।ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরো বলেছে, ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতাল বন্ধের অর্থ হলো উত্তর গাজায় কোনো সরকারি হাসপাতাল নেই। কারণ ইসরায়েলি বাহিনী এর আগে কামাল আদওয়ান এবং বেইত হানুন হাসপাতাল ধ্বংস করেছিল।ইসরায়েলের স্থল অভিযান জোরদারের ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক পোস্টে জাতিসংঘ প্রধান বলেছেন, “গাজায় স্থল অভিযান সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েলের পরিকল্পনা দেখে আমি উদ্বিগ্ন।”গুতেরেস বলেন, “আমি জোর দিয়ে বলছি, জাতিসংঘ এমন কোনো অভিযান সমর্থন করবে না যা আন্তর্জাতিক আইন এবং মানবিক নীতি- মানবতা, নিরপেক্ষতা, স্বাধীনতা এবং নিরপেক্ষতা মেনে চলে না।”ইসরায়েল গত ২ মার্চ থেকে গাজায় খাদ্য, পানি ও ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আর আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে এক লাখ ২০ হাজার।এইচএ
Source: সময়ের কন্ঠস্বর