‘সরকার বলছে সংস্কার করছে, বৈষম্য দূর করছে—কিন্তু আমি নিজেই এই সরকারের বৈষম্যের শিকার। এখনো তারা প্রকৃত অর্থে বৈষম্য দূর করতে পারেনি।’ – এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভাগ্নে এবং নীলফামারী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন।শনিবার (১৭ মে) দীর্ঘ ১৮ বছর পর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও নিজ জেলা আগমন উপলক্ষ্যে দুপুর আড়াইটার দিকে জেলা শহরের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার চত্বরে জেলা বিএনপির আয়োজনে এক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, ‘কারা ব্যাংক দখল করেছে, আমরা তা শুনতে পাচ্ছি। পত্র-পত্রিকায় দেখছি, বড় বড় ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠান একটি নির্দিষ্ট দলের বিশেষ লোকেরা দখল করে রেখেছে। আমরা আশা করি, সরকার এ ব্যাপারে আরও আন্তরিক হবে। অন্তত নির্বাচনের বিষয়ে যেন তারা সিরিয়াস হয়। আমরা চাই, গণতান্ত্রিক উপায়ে সব দলের অংশগ্রহণে জনগণের চাহিদাগুলো পূরণ হোক।’শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আরও বলেন, ‘আজ সংস্কারের কথা উঠেছে। তবে মনে রাখতে হবে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বহু আগেই ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন। আমাদের চেয়ারপারসনও এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন। আমরা চাই, এই সরকারকে আমরা যেভাবে সহযোগিতা করছি, দেশের জনগণও যেন তেমনভাবে সহযোগিতা করে।’এসময় তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির সংস্কার প্রস্তাবের সঙ্গে অন্যান্য দলের সংস্কার পরিকল্পনাগুলোকেও সমন্বয় করে যত দ্রুত সম্ভব দেশকে একটি গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।’নির্বাচন বিষয়ে তুহিন বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, এই দেশ পরিচালিত হোক সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দ্বারা। আমাদের নেতারা বলেছেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, সরকারের ভেতরে নানা ধরনের চিন্তাধারা ও বক্তব্য রয়েছে। একই সঙ্গে, বিশেষ মহলগুলো বিএনপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে ব্যস্ত রয়েছে।’গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম. আলমগীর সরকার এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক ও আমিনুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে জেলা বিএনপির প্রতিটি ইউনিট এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনকে ফুল ও সম্মাননা স্মারক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।এমআর
Source: সময়ের কন্ঠস্বর