মিয়ানমার সীমান্ত ঘেঁষা কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত এলাকায় মরণনেশা ইয়াবাসহ নানান প্রকার মাদকদ্রব্য পাচারের আগ্রাসন বেড়েই চলছে। এই মাদক পাচার প্রতিরোধে নদী,সাগর ও স্থল পথে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি টহল জোরদার ভূমিকা অব্যাহত থাকলেও মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে চালিয়ে যাচ্ছে পাচার কার্যক্রম।তারেই ধারাবাহিকতায় ১৬ মে (শুক্রবার) দুপুরের দিকে ম্যাজিস্ট্রেট,কোস্টগার্ড, বিজিবি,পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ৪৬ কোটি টাকা মুল্যের বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ও গাঁজার চালান ধ্বংসের কার্যক্রম সম্পন্ন করে টেকনাফ শাখায় কর্মরত কোস্টগার্ড সদস্যরা।কোস্টগার্ডের পাঠানো প্রেস বার্তায় দেখা যায়,কোস্টগার্ড’র একক ও যৌথ অভিযানে গত তিন মাসের ব্যবধানে ৯ লাখ, ৫ হাজার ৪৯০ ইয়াবা ও ৬০ কেজি ২২৫ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছিল। অবশেষে সেই মাদকদ্রব্য গুলো আনুষ্ঠানিক ভাবে ধ্বংস করা হয়।ধ্বংস কার্যক্রমের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে.কমান্ডার সালাহউদ্দিন রশীদ তানভীর।তিনি বলেন,গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত কোস্ট গার্ড চট্টগ্রাম পূর্ব জোনের অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কক্সবাজার, কুতুবদিয়া, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও আউটপোস্ট শাহপরী কর্তৃক সমুদ্র উপকূল হতে কোস্ট গার্ডের একক এবং র্যাবের সমন্বয়ে ১২ টি মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ধ্বংসকৃত মাদক গুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছিল।দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার পাশাপাশি মাদক পাচার ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদস্যরা দায়িত্বরত এলাকায় ২৪ ঘণ্টা টহল জোরদার অব্যাহত ছিল,আছে এবং থাকবে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।এফএস
Source: সময়ের কন্ঠস্বর